মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছিলেন ফেসবুকের মার্কেটিং হেড। তার হাত দিয়েই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর আগে হঠাৎ করেই ফেসবুক ছেড়ে দেন র্যান্ডি। ফেসবুকের মার্কেট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার আগে ইন্টারনেট উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি ছিল র্যান্ডির। বর্তমানে তিনি নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলা ব্যবসায় নিয়ে কাজ করছেন।
ফেসবুক ছাড়ার পর ২০১৪ সালে ‘জাকারবার্গ মিডিয়া’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন র্যান্ডি জাকারবার্গ। এছাড়া ডট কমপ্লিকেটেট ও ডট অ্যানিমেশন নামের দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের বোন ও ফেসবুকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা র্যান্ডি জাকারবার্গ। অ্যাডএশিয়া ২০১৯ নামের একটি বাণিজ্যিক সম্মেলনে অংশ নিতে সম্প্রতি পাকিস্তান গিয়েছিলেন র্যান্ডি।
লাহোরের অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে এক ঘণ্টার একটি বক্তৃতা করেন তিনি। ভালো বক্তা হিসেবে খ্যাতি আছে র্যান্ডির। পুরো একঘন্টা শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে শুনেছে তার বক্তৃতা। বক্তৃতায় র্যান্ডি পাকিস্তানের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফ জাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে পাকিস্তানের দুই মহান নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। র্যান্ডি বলেন, পাকিস্তান সব সময়ই তার নারীদের যথাযথ সম্মান দিয়ে আসছে। র্যান্ডি বলেন, পাকিস্তান আমার প্রিয় দেশগুলোর একটি। আর সবচেয়ে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
নিজের জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে র্যান্ডি জাকারবার্গ বলেন, আমি মার্কেটিং প্রধান হিসেবে আমার ভাইয়ের সাথে(মার্ক) কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলাম না। র্যান্ডি বলেন, আমরা মাত্র ১২জন সদস্য নিয়ে শুরু করেছিলাম। আজ ফেসবুকের ১০২টি অফিস আছে। কয়েক হাজার কর্মী কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানে।
তিনি বলেন, ফেসবুকের হেড অব মার্কেটিং হিসেবে আমার কোন বাজেট ছিল না। আমরা আবেগ দিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, দিন-রাত পরিশ্রম করেছি।
র্যান্ডি বলেন, সঙ্গীতের প্রতি আমার প্রচণ্ড ভালোবাসা ছিলো। সেই ভালোবাসা থেকে ফেসবুক লাইভ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমাদের প্রথম লাইভে দর্শক ছিলো মাত্র দু’জন- আমাদের বাবা ও মা। আর কেউ দেখেনি সেই প্রথম ফেসবুক লাইভ। পদক্ষেপটি পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।