বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভূমি সচিবের নির্দেশের পর দীর্ঘ ৩৫ বছরেও নরসিংদীর ঠাকুরদাস দে তার ৭২.৫০ শতাংশ পৈতৃক ভূমি ফিরে পাচ্ছেন না। নরসিংদী এলএও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘ তিন দশকাধিককাল হয়রানি করছে।
জমি ফিরে পাবার আশায় এলএও অফিসে ঘুরতে ঘুরতে জানমালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঠাকুরদাস দে।
গত ১৬ জুন তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর পুনরায় একটি আবেদনপত্র দাখিল করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও এলএও অফিসের সংশ্লিষ্ট অফিস সহকারী আবেদনপত্রটি জেলা প্রশাসকের নিকট পেশ করছেন না। এই অবস্থায় ঠাকুরদাস দে পুনরায় বাধ্য হয়ে নরসিংদী এলএও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের হয়রানির প্রতিকার চেয়ে ভূমিমন্ত্রীর নিকট একটি আবেদনপত্র দাখিল করেছেন।
ঠাকুরদাস দে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন যে, ঠাকুরদাস দে তার মৃত পিতা শরৎচন্দ্রের একমাত্র পুত্র ও উত্তরাধিকারী। ১৯৬০-৬১ সালে তৎকালীন সরকার তার পিতার নরসিংদীর সাটিরপাড়া মৌজাধীন ১৭০৪ দাগের ৭২.৫০ শতাংশ এবং ১৭২০ দাগের ১৮ শতাংশ ভূমি ইউএমসি জুটমিলের জন্য অধিগ্রহণ করে।
কিন্তু পরবর্তীতে অধিগ্রহণকৃত এই ভূমি সরকারের কোন কাজে লাগেনি। এই অবস্থায় ঠাকুরদাস আইন অনুযায়ী ইউএমসি জুটমিলের এই অব্যবহৃত ভূমি ফেরত দানের জন্য তৎকালীন নরসিংদী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমি সচিবের নিকট একটি আবেদনপত্র দাখিল করেন।যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন ভূমি সচিব ১৯৮৪ সালে মূল্য ফেরত নিয়ে অধিগ্রহণকৃত ভূমি আবেদনকারীকে ফেরত দেয়ার নির্দেশ জারি করেন।
ভূমি সচিবের এই নির্দেশ অনুযায়ী তৎকালীন জেলা প্রশাসক ১৭২০ দাগের ১৮ শতাংশ ভূমি আবেদনকারীকে ফেরত দিলেও ১৭০৪ দাগের ৭২.৫০ ভূমি ফেরত প্রদান করেননি। এরপর ঠাকুরদাস দে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং নরসিংদী এলএও দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। বহু আবেদন-নিবেদন করেও কোন কিনারা করতে পারেননি।
অবশেষে ১৯৯৩ সালে নরসিংদী জেলা প্রশাসককে ভূমি সচিবের নির্দেশ অনুসারে প্রাপ্য ৭২.৫০ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর ৯৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৬ বছর পার হয়ে গেছে তার প্রাপ্য সম্পত্তি ফিরে পাচ্ছেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।