পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমাদের সকলের প্রেরণা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। ওনার দলের লোকজনের কোনো ত্রুটি থাকলে আমরা সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করতে পারি না।’- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এসব কথা বলেছেন।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে জাতীয় কৃষক পার্টির সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কৃষকদের উদ্দেশ্যে জি এম কাদের বলেন, সারা পৃথিবী যদি আমাদের বর্জন করে। কিংবা আমরা যদি পৃথিবীকে বর্জন করি, তাহলে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবো। কার কারণে, কৃষকদের কারণে। তাদের কারণে আমরা স্বাবলম্বী। কিন্তু সেই কৃষকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। অনেক সময় ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত কৃষকরা এই সুবিধা পান না। খুব বেশি হলে দুই থেকে চার ভাগ কৃষক এই সুবিধা পায়। মধ্যস্বত্বভোগীরা এই সুবিধা লুটেপুটে খায়।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় না। এই যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কৃষকরা কি এর থেকে লাভবান হয়েছে, হয়নি। লাভবান হলে সর্বোচ্চ ৫/১০ জন কৃষক হয়েছে। যেই মুনাফাটা কৃষকের পাওয়ার কথা তারা পাচ্ছে না। কৃষকরা যখন বিক্রি করে তখন দাম কম থাকে, ঋণের টাকা শোধ করতে পারে না। ঋণের দায়ে জমি হারিয়ে ভূমিহীন হচ্ছে। নিজের জমিতে বর্গাচাষী হচ্ছে।
আপনাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। তবেই দাবি দাওয়া আদায় করা সম্ভব। আমরা কি করতে পারি, সেটি প্রচার করতে হবে। আমরা কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবো। ন্যায্য দামে উপকরণ নিশ্চিত করবো। ভয়ের কিছু নেই, আমি ভয় পাই না। আমার শক্তির উৎস আপনারা। যাকে নেতা নির্বাচন করবেন তাকে মেনে চলতে হবে। নেতা পছন্দ না হলে তাকে পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু নেতা থাকবে একজন বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।
জি এম কাদের আরও বলেন, কৃষক পার্টি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে। কৃষকরা যেমন ধান বুনে, পরে গাছ তৈরি হয়। তেমনি কৃষকরা যদি কর্মী তৈরি করতে পারে, তাহলে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে।
জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে ও দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদারের সঞ্চালনায় সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (এমপি), এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু ও জেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।