বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, মানবিক গুণাবলী আজ চরমভাবে ভুলুণ্ঠিত। উপমহাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। আমরা বহু কষ্টের বিনিময়ে একটি পতাকা এনেছিলাম। নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে হয় আপনারা এই পতালাকা আর রাখতে পারছেন না।
হাসান সরকার আরো বলেন, নমরুদের পতন জনতা ঘটায়নি। এক পা ওয়ালা একটি পঙ্গু মশার মাধ্যমে নমরুদের পতন ঘটানো হয়েছিল। এই জালিম সরকারের পতন ঘটবে দুই পা ওয়ালা মশা দিয়ে। মহান আল্লাহর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, তিনি যেভাবে চান সেভাবেই চলবে। তাই আসুন সকল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে সভা সমাবেশে বাধা না দিয়ে দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হই।
তিনি রোববার গাজীপুর মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুর রহমান পেরা, অ্যাডভোকেড ড. শহীদুজ্জামান, মাস্টার হুমায়ুন কবীর খান, আব্দুল মোতালেব, শাহজাহান ফকির, মাহবুবুল আলম শুক্কুর, অ্যাডভোকেড কাজী খান, শওকত হোসেন সরকার, খলিলুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম কিরণ, প্রভাষক বসির উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম মনির, জাহাঙ্গীর আলম, হাসিবুর রহমান মুন্না, আবু তাহের মুসল্লি, বসির আহমেদ বাচ্চু, শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।
সমাবেশে বাধাদান ও মাইক ব্যবহারে নিষেধ করার সমালোচনা করে ফজলুল হক মিলন বক্তৃতায় বলেন, রোদে বসে জনগণের জন্য কথা বলি আমরা, আপনাদের সমস্যা হয় কেন ? আপনাদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, দু:শাসন ও অপকর্ম জনগণ জেনে যাবে তাই ? তিনি বলেন, যারা লুটপাট করছে, দেশ-বিদেশে দেশবিরোধী বক্তৃতা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না। মামলা হয় যারা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন, এই সরকার আজে বাজে কথা বলে দেশ পরিচালনা করতে চায়। তারা পুলিশ ছাড়া ঘর থেকে বেরোতে পারে না; এমনকি টয়লেটে গেলেও পুলিশের সহযোগিতা চায়। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, পুলিশ ছাড়া আসুন, পাঁচ মিনিটের জন্য রাজপথে দাঁড়াতে পারতে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান বলেন, একটি সরকার প্রধান যখন জঘন্য মিথ্যাচার করে; একজন নাগরিকের প্রতি যখন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে; তখন সেই সরকারের কাছে ভাল কিছু আশা করা যায় না। স্বৈরাচারী, ভোটারবিহীন এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। কারণ মামলার প্রতিটি স্তরে এই স্বৈরাচারী সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র জড়িত।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম বলেন, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী পিঁয়াজের সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পন করে পিঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দেন; সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেগম জিয়ার মুক্তি আশা করা যায় না। লেনসন ম্যান্ডেলার পথ ধরে অবশ্যই বেগম জিয়ার মুক্তি হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।