পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারীর মর্যাদা, অধিকার ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে উল্লেখ করে ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘নারীর মর্যাদা, অধিকার ও স্বনির্ভরতা অর্জনে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই বেগম রোকেয়ার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’
‘বেগম রোকেয়া দিবসে আমি নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯’ উদ্যাপন ও ‘বেগম রোকেয়া’ পদক প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীমুক্তি, সমাজসংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ। বেগম রোকেয়া উন্নত মানসিকতা, দূরদর্শী চিন্তা, যুক্তিপূর্ণ মতামত প্রদান ও বিশে¬ষণ, উদার মানবতাবোধের অবতারণা এবং সর্বোপরি দৃঢ় মনোবল দিয়ে তৎকালীন নারী সমাজকে জাগিয়ে তোলেন। বাঙালি মুসলিম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সর্বদা পর্দার অন্তরালে থেকে নারী শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগ নেন এবং মুসলিম মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ সুগম করেন।
তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া সামাজিক নানা বিধিনিষেধ, নিয়ম-নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে আবির্ভূত হন অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে। তিনি শিক্ষার মাধ্যমে নারীকে ক্ষমতায়িত করা এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করে নারীর মর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর প্রদর্শিত পথেই উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ প্রত্যয়দীপ্ত নারীরা বিস্ময়কর উত্থান ঘটিয়েছেন।
নারী পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারী সমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১১ ও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭।
এ বছর নারী ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য অবদান রাখার জন্য যারা ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০১৯’ পেয়েছেন তিনি তাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
তিনি ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।