বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন জিয়া- এরশাদ- খালেদা জিয়ারা স্বাধীনতা বিরোধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ জঞ্জাল সরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রী রোববার তার নিজ নির্বাচনী এলাকার পিরোজপুর মুক্ত দিবসে গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে নব নির্মিত স্বাধীনতা মঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মহিলা সাংসদ শেখ এ্যানী রহমান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, পৌর মেয়র আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান মালেক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম. এ হাকিম হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সালাম সিকদার, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রেজাউল করিম শিকদার মন্টু বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী বলেন আজ পিরোজপুর মুক্ত দিবসে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ নিতে হবে যে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, যারা রাজাকার আলবদরদের এদেশের প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী বানিয়েছে তাদের সাথে কখনও কোন সম্পর্ক করা যাবে না। তিনি বলেন বেগম জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক রহমানকে সংসদে বিরোধী দলের নেতা বানিয়ে ছিলেন। পাকিস্তান পুনঃরুদ্ধার কমিটি সভাপতি গেলাম আজমকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সে সময়ের রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম ভাতা প্রদান করেছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে। সেই ভাতা আজ মাসে ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে ঈদ বোনাস, বিজয় ভাতা, বৈশাখী ভাতা। আজ মুক্তিযোদ্ধারা সমাজে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারছেন, বিভিন্ন ভাবে সম্মানিত হচ্ছেন শুধুমাত্র শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারনে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পিরোজপুর শহরের দিকে এগিয়ে এলে হানাদার বাহিনী পিরোজপুর ছেড়ে বরিশালের দিকে পালিয়ে যায়। আজ শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে মন্ত্রীর মাল্যদানের পর শুরু হয় এক বিশাল আনন্দ র্যালী। এ র্যালীতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।