পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকালে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শুরু হয় সম্মেলনের কাজ। সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের শুরুতে এ সংঘাতের পর বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি ইন্টারন্যানাশাল কনভেনশন সেন্টারে কাউন্সিল অধিবেশনকে ঘিরে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্মেলনে যোগ দিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে লালদীঘি ময়দানে আসতে থাকেন। সবার আগে মাঠে হাজির হন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও মীরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের অনুসারীরা। অপর সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ আতাউর রহমান আতার অনুসারীরা লালদীঘি ময়দানে ঢুকতে গেলে প্রথমে কথা কাটাকাটি এরপর হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু করে। এ সময় কয়েকজন কর্মীকে প্রতিপক্ষের উপর চেয়ার নিয়ে হামলা করতে দেখা যায়। চেয়ারের আঘাতে এবং এলোপাতাড়ি লাথি, কিল-ঘুষিতে আহত হন বেশ কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, এ সময় অন্তত পাঁচজনকে রক্তাক্ত আহত হতে দেখা যায়। প্রায় ১০-১৫ মিনিট সংঘর্ষ চলতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তবে পুলিশ স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। মারামারি থেমে গেলে বেলা সাড়ে ১১টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ততক্ষণে মাঠের মূল অংশের নিয়ন্ত্রণ নেন সভাপতি পদপ্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর অনুসারীরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তৃতার শুরুতেই মাঠের মাঝখানে থাকা ফজলে করিমের সমর্থকেরা একযোগে তার ছবি সম্বলিত প্লেকার্ড তুলে ধরে ¯েøাগান দিতে থাকেন।
বিরক্ত ওবায়দুল কাদের সাফ জানিয়ে দেন, মাস্তানি করে নেতা হওয়ার দিন শেষ। তিনি বলেন, তোমরা কি ¯েøাগান দিয়ে তাকে নেতা বানাতে চাও। এভাবে নেতা বানানো যায় না। তখন বিপুল সংখ্যক পুলিশ সম্মেলনের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা সম্মেলন স্থলের ভেতরে ঢুকে পড়েন। উদ্বোধনী অধিবেশনের পর কাউন্সিল অধিবেশনে সংঘাতের আশঙ্কায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ গেইটে অবস্থান নিয়ে কাউন্সিলর ছাড়া আর কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়নি। মিডিয়া কর্মীদেরও ভেতরে যেতে বাধা দেয়া হয়। পুলিশ কনভেনশন হলের আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় নেতাদের অনুসারীরা কনভেনশন হলের দূরে বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যায় নির্বাচনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতার অনুসারীরা মিছিল নিয়ে কনভেনশন হল ত্যাগ করেন। অন্যদিকে বাকি প্রার্থীদের অনুসারীরা নীরবে এলাকা ছেড়ে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।