নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেই পুরনো ধার, নেই বৈচিত্র্য, নেই আগের সেই জায়গাটাও। বছরখানেক আগেও দলের মূল বোলিং অস্ত্রকে চোটের হাত থেকে সুরক্ষায় বাইরের ফ্রেঞ্চাইজি লিগ খেলতে বিধিনিষেধও ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। আপাতত তা আর নেই। সুযোগ পেলে আইপিএলে যেতে পারেন, বাধা নেই বিসিবির। বলছিলাম জাতীয় দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক বোলার মুস্তাফিজুর রহমানের কথা। এখন অবশ্য ধারাবাহিক বলার সুযোগটা হয়তো নেই।
নিজের সেরা সময়ে তো বটেই, মাঝারি সময়েও মুস্তাফিজ ছিলেন দলের মূল বোলিং অস্ত্র। কিন্তু সম্প্রতি তার দশা আরও বেহাল। সম্প্রতি আইপিএলের নিলামে উঠতে ইচ্ছুক বাংলাদেশের এমন ছয় ক্রিকেটারের তালিকায় আছে মুস্তাফিজের নামও। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে মুস্তাফিজও চান এবার আইপিএলের নিলামে উঠতে।
বিসিবির তাতে সায় আছে বলেই পাঠানো হয়েছে সে তালিকা। যদিও এবার আইপিএলের নিলাম হবে আংশিক। ২৫৮ জন ইচ্ছুক বিদেশি ক্রিকেটারের মধ্যে মাত্র ২৯ জনকে ১৯ ডিসেম্বর তোলা হবে নিলামে। তারমধ্যে থেকেই বেছে বেছে ক’জন দল পাবেন। কাজেই মুস্তাফিজের আইপিএলের নিলামে উঠাও বেশ কঠিনই। দল পাওয়া তো বটেই।
তবে কঠিন হোক আর সহজ হোক, মুস্তাফিজ আইপিএলে সুযোগ পেলে বিসিবির কোন বাধা নেই এটা মোটামুটি পরিষ্কার। চোটের থেকে বাঁচতে অন্তত দুই বছর আইপিএল বা বিদেশী লিগ থেকে দূরে থাকার মৌখিক নির্দেশনা ছিল বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের। মুস্তাফিজের টুকটাক চোট সমস্যা এখনো আছেই। কিন্তু বিসিবি সরে এসেছে আগের ভাবনা থেকে। তার বড় কারণ মোস্তাফিজের বিবর্ণ পারফরম্যান্স।
সর্বশেষ ভারত সফরে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজে একটিও উইকেট পাননি মুস্তাফিজ, বরং ছিলেন ভীষণ খরুচে। টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে থাকলেও তাকে একাদশে বিবেচনাই করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। বর্তমান পারফরম্যান্সের যে হাল মুস্তাফিজের, তাকে এই মুহূর্তে আর সবচেয়ে সেরা অস্ত্র মনে করছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।
আইপিএলের বিগত আসরে খেলতে না পারলেও এবারের আইপিএলে খেলার অনাপত্তি পত্র পেলেন তিনি। বিসিবির এই অবস্থান পরিবর্তনের কারণ জানালেন ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান, ‘তখন তার চোটের সমস্যা থাকায় আমরা তাকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা থেকে বিরত রেখেছিলাম। কিন্তু এখন সে ভালো অবস্থানে আছে এবং নিয়মিত ম্যাচ খেলছে। সে এবার জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) খেলেছে এবং ভারত সফর করেছে। এভাবে যদি চালিয়ে যেতে পারে তাহলে চোটে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।’
মুস্তাফিজের ফর্ম নিয়ে যে বিসিবি চিন্তায় আছে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে আকরামের কন্ঠে, ‘সত্যি বলতে তার বর্তমান ফর্ম নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কারণ আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন বোলার সে। যদি সে আইপিএলে খেলার সুযোগ পায় এবং এই খেলার মাধ্যমে ফর্মে ফিরতে পারে তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।’
২০১৫ সালে ভারতকে হারিয়ে আলোড়ন তুলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা পড়ে এই বিশ্ময় বালকের। ২০১৬ সালের আইপিএলে মাত করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বানান চ্যাম্পিয়ন। ২০১৭ সালে একই দলের হয়ে কেবল এক ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন। ২০১৮ সালের আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সাত ম্যাচ খেলে উইকেট নেন কেবল ৭টি। রান বিলিয়েছেন দেদারসে।
পড়তি অবস্থায় মুস্তাফিজের দর নেমেছে ভারতে। এবার ভারত সফরে জাতীয় দলের হয়ে তার বিবর্ণ নৈপুণ্য হতাশ করেছে ভারতীয় বিশ্লেষকদেরও। বিসিবির সায় আছে, তিনি ইচ্ছুক কিন্তু আইপিএলের দলগুলো তার ব্যাপারে কতটা আগ্রহী এখন তা দেখার বিষয়।
তার আগে অবশ্য রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএলে নামবেন মুস্তাফিজ। এবারের বিপিএলের পারফরমেন্স তাই অনেকটাই জরুরি হয়ে উঠতে পারে সাতক্ষীরার এই পেসারের জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।