মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা নৌবাহিনীর তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, মাঝে মাঝে জরিপ জাহাজগুলোকে পাকিস্তানি রণতরীকেও সঙ্গে নিতে দেখা যাচ্ছে। উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করে দি প্রিন্ট এসব তথ্য পেয়েছে। ভারতকে ঘিরে এসব তৎপরতায় সাবমেরিনবিধ্বংসী অভিযানের সম্ভাব্য প্রস্তুতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গত বছর থেকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক ওশ্যানগ্রাফিক জাহাজ পাঠাচ্ছে। এছাড়া চীনা রণতরী ও পরমাণু সাবমেরিনগুলো গত তিন বছর ধরে কলম্বোতে পোর্ট কল করছে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্লানের টাইপ ৯২৬ সাবমেরিন টেন্ডারকে কলম্বোতে দেখা গেছে। এতে অব্যাহত জরিপ কার্যক্রমের ধারণা পাওয়া গেছে। সাবমেরিন টেন্ডার হলো সাবমেরিনকে সহায়তাকারী জাহাজ।
টাইপ ৯২৬ সাবমেরিন সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টেন্ডার#৮৬৫ লিগোঙ্গদাও চলাচল করে চীনের পরমাণু সাবমেরিনগুলোর সাথে। এই জাহাজটি চীনের অত্যাধুনিক উদ্ধার সাবমেরিনগুলোর (টাইপ ৭১০৩ ডিপ সাবমারজেন্স রেসকিউ ভেসেল- ডিএসআরভি) মধ্যে মাদার-শিপও। ডিএসআরভি ৬০০ মিটার পর্যন্ত ডুবতে পারে এবং কুরস্ক-ধরনের দুর্ঘটনা থেকে ১৮ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারে।
অবশ্য, কলম্বোতে নোঙর করার সময় উদ্ধার সাবমেরিন দেখা যায়নি। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, ডিএসআরভি সম্ভবত কলম্বোর আশপাশে বিশেষ জরিপ মিশনে ছিল।
আরো সাম্প্রতিক সময়ে প্লানের শীর্ষ নৌবাহিনীর জাহার টাইপ ৬৩৬এ হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে শিপ হাইয়াঙ-২২ ক্লাসকে ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তোলা ছবিতে দেখা গেছে। ১৩০ মিটার লম্বা এই জরিপ জাহাজটিতে ১৩৪ জন ক্রু থাকতে পারে। এটি নিজের শক্তিতে ১৫ নট গদিতে ১৫ হাজার নটিক্যাল মাইল সফর করতে পারে।
কলম্বোতে হাইইয়াং-২২-এর উপস্থিতি স্পষ্টভাবেই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আরো সাবলীলভাবে সাবমেরিন তৎপরতার জন্য ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জরিপ চালাতে চীন আগ্রহী। চলতি বছরের প্রথম দিকে চীন পারস্য উপসাগর-আরব সাগরীয় অঞ্চল মাকরান ট্রেঞ্চে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর সাথে যৌথ মহড়া চালায়। এতে চীনা নৌবাহিনীর আধুনিক টাইপ ৬২৫সি শিয়ান ৩ ওশ্যানগ্রাফিক জরিপ জাহাজও অংশ নেয়।
বিস্ময়ের ব্যাপার হলো জরিপ জাহাজটি ১৮ জানুয়ারি ভারতের উপকূলীয় এলাকায় ছিল। কারণ বোঝাই যাচ্ছে। তা হলো শিয়ান ৩ ভারতের পশ্চিম উপকূলে আরব সাগরে জরিপ চালাচ্ছিল।
চীনের গুয়াঙঝুতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্রজপির জাহাজটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। ৯০ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজটি ইউএসএস ইমপেসেবলের (এর দৈর্ঘ্য ৮৫ মিটার) চেয়েও বড়।
এই জাহাজটি এর পূর্বসূরীদের চেয়ে ভিন্নই মনে হয়। এতে আধুনিক নানা জরিপ সামগ্রী রয়েছে বলে ধারণা করা যায়। এগুলো দিয়ে জিওলোজিক্যাল সিস্টেম, ওশ্যান গ্রাভিটি, তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, ঘনত্ব, স্রোত ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।
এসব জাহাজের কাজ হলো সাবমেরিনবিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য শত্রুর সাবমেরিন শনাক্ত করা এবং সাগরের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানা। এতেই বোঝা যাচ্ছে চীন এখন এই অঞ্চলে সাবমেরিনবিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।