মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সাহায্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এবং এটি নিয়ে দেশটির সবাই এখন মহা আতঙ্কিত। খবর সিএনএন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে অপহরণকারীরা মেয়েদের অপহরণ করতে সাদা রঙের গাড়ি ব্যবহার করছে। দেশটির সব জায়গায় এমনটি দেখা যাচ্ছে।
অপহরণ করার পর এসব মেয়েকে যৌনকর্মী হিসেবে বা তাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক পোস্টে এই দাবি করা হয়েছে।
ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোর শহরের মেয়র বের্নার্ড জ্যাক ইয়ং সোমবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, সাদা রঙের গাড়ির কাছে গাড়ি পার্ক করবেন না। আপনার ফোন সবসময় সঙ্গে রাখুন।
তিনি জানান, এই ধরনের কথা তাকে বাল্টিমোর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। তিনি এসব কথা জেনেছেন ফেসবুক থেকে। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে এভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
বাল্টিমোর পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ জ্যাবলো মঙ্গলবার সিএনএন বিজনেসকে জানান, তারা এই ধরনের ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে জানেন কিন্তু এখনও এমন কোনও ঘটনার খবর পায়নি।
গণমাধ্যমটি জানায়, গত কয়েক সপ্তাহে কয়েক হাজারবার এই ধরনের ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। সম্ভবত কয়েক মিলিয়ন মানুষ এগুলো দেখেছে। প্রকৃতপক্ষে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।
মূলত একটি সাদা ভ্যানকে কেন্দ্র করে ছড়ানো হয়েছে গুজব। বলা হচ্ছে, সাদা রঙের গাড়িতে করে অপহরণকারীরা ওত পেতে রয়েছে। সুযোগ পেলে নারীদের অপহরণ করে যৌনকর্মী হিসেবে নিয়োজিত করছে এবং তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দিচ্ছে। নিউইয়র্ক পুলিশের পক্ষ থেকে ফেসবুকে ছড়ানো এ ধরনের পোস্টকে গুজব বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
গুজবের সেই ডালপালা এতোটাই ছড়িয়েছে যে, দেশটির পুলিশ প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে এটি রোধ করতে। এমন ঘটনা যে সত্যি ঘটেছে এর কোনো প্রমাণ নেই। তাই নিউইয়র্ক পুলিশ ঘটনাটি পুরোপুরিভাবে গুজব বলে জানিয়েছেন। এদিকে বাল্টিমোর পুলিশ ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, ডিপার্টমেন্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট সম্পর্কে সচেতন থাকলেও এটির প্রকৃত ঘটনার কোনো রিপোর্ট পায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।