পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ প্রকৌশলীদের উন্নয়নের কারিগর উল্লেখ করে বলেছেন, তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে হবে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চুয়েট চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ একথা বলেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন ধান কাটার মওসুম। কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। খাতুনগঞ্জ থেকে পচা পেঁয়াজ কর্ণফুলীতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। ছাত্রদেরকে মজুতদার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তিনি দলমত নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়নের পাশাপাশি মজুতদার ব্যবসায়ীদের মোটিভেশন করার আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ সহ শতবছর মেয়াদী ব-দ্বীপ ২১০০ পরিকল্পনা নিয়েছেন। এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আজকের শিক্ষিত তরুণরাই এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ডিগ্রিপ্রাপ্তদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলেন, তোমাদের এখন শুরু। লক্ষ্য স্থির করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করা হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র এখন মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বরেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের হতে হবে স্নেহশীল, অভিভাবকতূল্য।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অর্ন্তনিহীত মেধার সৃজনশীল বিকাশের সকল আয়োজন নিশ্চিত করা হয়। কেবল পুঁথিগত বিদ্যা নয়, দেশ বিদেশের সর্বশেষ তথ্য সমৃদ্ধ শিক্ষা ও গবেষণা এবং সৃজনশীল কর্মকা-ে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে- তার উন্মোচন করবে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকৌশল শিক্ষা যদিও হাতে কলমে শিক্ষা। তা সত্ত্বেও এখানে সৃজনশীলতার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্রকৌশলীদের জ্ঞানের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম ও উন্নত পাঠদানের ব্যবস্থা থাকতে হবে। চুয়েট শিক্ষার মহান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।
সমাবর্তন বক্তা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে প্রকৌশল ও কারিগরী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় এটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। তিনি প্রতিষ্ঠানের স্নাতকরা তাদের জ্ঞান ও উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য আজকের দিনটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা হতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক শক্তি।
স্বাগত বক্তব্যে চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, প্রকৌশল শিক্ষায় সমৃদ্ধ জাতিই উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করে প্রকৌশল শিক্ষায় যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দুই হাজার ২৩১ জনকে ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী চার শিক্ষার্থীকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।