বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে প্রায় তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ফের পুলিশের পোষাক পরে দিনে দুপুরে এক এনজিও কর্মীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ও ১ টি মোবাইল ফোনসেট ছিনতাই হয়েছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-দোহার সড়কের শ্রীনগর বাইপাস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছিনতাইয়ের আগে শ্রীনগর বাইপাস এলাকার মতো একটি জনবহুল রাস্তার মধ্যে ফেলে শরিয়তপুর ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (এসবিএস) এর কর্মী আশিক মাদবর (২৪) কে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে প্রকাশ্যে বেধরক পিটানো হয়। এসময় আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পুলিশের পোষাক পরিহিত একজন জানায়, আশিক মাদক ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হচ্ছে। কিছুক্ষন পর লাল রংয়ের একটি অনটেষ্ট লেখা এ্যাপাচি মোটর সাইকেলে করে পুলিশের পোষাক পরিহিত ব্যাজে আজিজুল লেখা একজন ও অপর একজন সাদা পোষাকে আশিককে মাঝখানে বসিয়ে থানার দিকে রওনা দেয়। একটু পর শ্রীনগর থানা পুলিশের টহলগাড়ি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ পরিচয়দানকারী হাত নাড়েন। টহলগাড়ি দুরে চলে গেলে তারা আশিকের কাছ থেকে ব্যাগ কেড়ে নিয়ে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও তার ব্যবহৃত এনড্রয়েড মোবাইল ফোন সেটটি হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশিককে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির ভাগ্যকূল শাখার ম্যানেজার মোঃ সালাউদ্দিন জানান, আশিক তার ব্রঞ্চের কর্মী। সে কোলাপাড়া-রাঢ়িখাল ও সবুজগ্রাম এলাকায় কাজ করে। ওই এলাকা থেকে কিস্তির টাকা তুলে ভাগ্যকূল যাওয়ার সময় রাড়িখাল এলাকা থেকে আশিককে পুলিশের পোষাক পরিহিত অস্ত্র ও হ্যান্ডকাপ নিয়ে একজন এবং সাদা পোষাকে অপরজন তাকে থানায় নিয়ে আসার কথা বলে মোটর সাইকেলে তুলে নেয়। পরে বাইপাস এলাকায় এনে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। আশিক এই প্রতিষ্ঠানে ৪ বছর ধরে কাজ করে। তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাতিমদি গ্রামে। তার বাবার নাম আকমত আলী।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ভোরে ষোলঘর এলাকার ইয়াসমিন -দেলোয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে ৩ মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪১ হাজার টাকা এবং একই দিন সিংপাড়া এলাকার ১ মাছ ব্যবসায়ী কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা পুলিশের পোষাক পরে একই কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোজ নেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।