পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তারা চড়েন প্রাইভেটকারে। সড়কের পাশে কার থামিয়ে একজন ঢুকে পড়েন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। কিছুক্ষণ পর বাকিরাও ঢুকে শুরু করেন এলোপাতাড়ি মারধর। এরপর ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান কারযোগে। ছিনতাই করা প্রাইভেটকারসহ এমন একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করার পর ফিল্মি স্টাইলে ছিনতাইয়ের এমন বর্ণনা দিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উত্তর বিভাগের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান বলেন, এ চক্রটি আফ্রিকান সিনেমা স্টাইলে ছিনতাই করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- নোয়াখালী সদর থানার নোল্লা বাজারের লাল মিয়া সওদাগর বাড়ির মৃত শফিক উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন আসলাম (২৭), সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী খাদেমপাড়ার আমির কোম্পানি বাড়ির মো. সুলতান আহমেদের ছেলে মো. তানভীর ইসলাম (২৭), জঙ্গল সলিমপুর লতিফ নগর এলাকার মো. শফি আলম ওরফে শামসুল আলমের ছেলে কামাল উদ্দীন ওরফে মহিউদ্দিন (২৮) ও রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাট বগারবিল এলাকার মো. জামালের ছেলে মো. সোহেল (৩০)। পুলিশ জানায়, নগরীর বায়েজিদ এলাকায় ছিনতাইকারী দলের এক সদস্য ওষুধ কেনার জন্য গিয়েছিল ফার্মেসিতে। এরপর ওই ফার্মেসিতে ঢুকে পড়ে আরও তিন সদস্য। পরে ফার্মেসির মালিক-কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটে নিয়েছে ট্যাব, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা। নগরীতে রাত দশটার পর যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে এলে এ চক্রের সদস্যরা প্রাইভেটকারযোগে টহল দেয়। পথচারী ও জরুরি প্রয়োজনে খোলা থাকা বিভিন্ন দোকানে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। কেউ ছিনতাইয়ে বাধা দিলে চাকু দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
ওই চারজন সীতাকুণ্ডে যাওয়ার কথা বলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নগরীর অলংকার মোড় থেকে প্রাইভেটকার ভাড়া করে।
কৌশলে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় প্রাইভেটকারের চালক ইলিয়াছকে নিয়ে এসে জিম্মি করে। এরপর ইলিয়াছের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে প্রাইভেটকারটি ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অল্প সময়ের মধ্যে এত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে মারধর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বায়েজিদ লিংক রোডে রাত ৮টায় চালকের বিকাশ নম্বরের পাসওয়ার্ড জেনে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও নিয়ে নেয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে বায়েজিদ-অক্সিজেন কাঁচাবাজার এলাকায় ফার্মেসি থেকে ৭০ হাজার টাকা, একটি ট্যাব ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির পর মুরাদপুর এলাকা থেকে একজন রিক্সা যাত্রীর মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। বুধবার রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় প্রাইভেটকার নিয়ে ঘুরে ঘুরে ১০-১২টি ছিনতাই করে তারা। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি প্রাইভেটকার, ওয়ান স্যুটার গান, চার রাউন্ড কার্তুজ, ১০টি মোবাইল ও একটি ট্যাবসহ ছিনতাইয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।