গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের শিশু-কিশোরদের উপযোগী বই ক্রয়ের বিষয়ে একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। একাডেমির বিপুল অঙ্কের অর্থে মাত্র ১৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়ার কারণে বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রকাশকরা দাবি করেছে, সম্প্রতি গত অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থে বই ক্রয়ের জন্য যথাযথ নিয়ম না মেনে পরিচালক তার ইচ্ছেমতো একজন প্রকাশককে তার পছন্দমাফিক বই সরবরাহ করার জন্য মৌখিক আদেশ প্রদান করে যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।
জানা য়ায়, সম্প্রতি বঞ্চিত প্রকাশকগণ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে দেখা করলে তিনি বই ক্রয়ে কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন এমন মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান বাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে তারা বিষয়টি অবহিত করলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান এবং বিষয়টি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
সাধারণ প্রকাশকরা বলেছেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, পাবলিক লাইব্রেরি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইসলামী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে দেশজুড়ে লাইব্রেরি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকারি অর্থে বিপুল পরিমাণ সৃজনশীল বই ক্রয় করা হয়। কিন্তু একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এই সরকারি অর্থে কেনা বইয়ের সরবরাহ করার কাজটি একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাবান্বিত করে থাকে। যার ফলে প্রতি বছরই বঞ্চিত হয় সাধারণ বেশিরভাগ প্রকাশক ও লেখক।
উক্ত ক্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনা অঙ্গনটি একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বই ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে তেমন কোনো প্রতিবেদন আমাদের চোখে পড়ে না। সরকারী নীতিনির্ধারকগণও এই ব্যাপারে উদাসীন। সাধারণ প্রকাশকগণ অচিরেই শিশু একাডেমির উক্ত আদেশ বাতিল করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বইয়ের তালিকা সংগ্রহ করে যাতে বই কেনা হয় এমন দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বই কেনার ক্ষেত্রে সকল প্রকাশনার বই নেয়া সম্ভব নয়। অনেক প্রকাশনা আমাদের কাছে তাদের বইয়ের তালিকা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে আমাদের পছন্দমত বই কিনেছি। সাধারণ প্রকাশনাগুলো থেকে বই না নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বইয়ের মান দেখে আমরা বই নিয়েছি। আর তাছাড়া অনেক পরে যারা তাদের বইয়ের তালিকা দিয়েছে তাদেরগুলো নেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, কিছু মানহীন প্রকাশনা এই ধরনের কথা প্রচার করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।