Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী ইবাদতের অন্তর্নিহিত অর্থ

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পূর্ব প্রকাশিতের পর
একদিন হযরত সালমান ফারেসী (রা:) অপর এক সাহাবী হযরত আবুজর (রা:)-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন। তিনি দেখতে পেলেন তার স্ত্রী অতি সাধারণ ও ময়লা কাপড় পরিধান করে আছেন। হযরত সালমান (রা:) এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। মহিলাটি উত্তর করলেন, আপনার ভাইয়ের দুনিয়ার প্রতি কোন খায়েশ নেই।” তারপর মেহমানের জন্য খাদ্য-সামগ্রী এল। তখনহযরত আবুজর (রা:) বললেন, আমি রোজা রেখেছি। হযরত সালমান (রা:) বললেন, ‘আমি আপনাকে ছাড়া আহার্য গ্রহণ করব না।” পরিশেষে তিনি ইফতার করে একই সাথে আহার গ্রহণ করলেন। তারপর রাতের আঁধার চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। হযরত আবুজর (রা:) উঠে চলে যেতে চাইলেন। হযরত সালমান (রা:) বললেন, “এখন শুয়ে পড়–ন রাতের শেষ প্রহরে তিনি তাকে জাগিয়ে তুললেন এবং বললেন, “এখন নামাজ পড়–ন।” সুতরাং উভয়েই তাজাজ্জুদের নামাজ আদায় করলেন। তারপর হযরত সালমান (রা:) বললেন, “প্রিয় আবুজর! তোমার প্রতিপালকের তোমার উপর হক আছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও হক আছে। সুতরাং তোমার উপর যাদের হক আছে, সবই আদায় করবে।” তারপর হযরত আবুজর (রা:) রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর খেদমতে হাজির হয়ে হযরত সালমান ফারেসী (রা:)-এর ভাষণ তুলে ধরলেন। রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, “সালমান (রা:) সত্য কথাই বলেছেন।” (সহীহ বুখারী : কিতাবুল আদব, অতিথির আহার্য ও পরিচর্যা অধ্যায়, ৯০৬ পৃ:)

একদিন কতিপয় লোক রাসূলুল্লাহ (সা:)-কে জিজ্ঞেস করলো “ইয়া রাসূলুল্লাহ! সকল কাজের মাঝে কোন কাজটি উত্তম?” উত্তর করলেন, “আল্লাহর উপর ঈমান আনা এবং তাঁর পথে জিহাদ করা।” লোকজন পুনরায় জিজ্ঞেস করলো, কোন গোলামকে মুক্ত করলে বেশী পুণ্যলাভ ঘটে? তিনি উত্তরে জানালেন, “যার মূল্য বেশী এবং যাকে মনিব অধিক ভালোবাসে।” লোকজন আবারও জিজ্ঞেস করলো, যদি এই কাজ আমাদের দ্বারা সম্ভব না হয়?” রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, “এরপর পুণ্যের কাজ হচ্ছে এই যে, কোনও শ্রমিককে সাহায্য করবে, কিংবা যে কাজ করতে অক্ষম তার কাজ সম্পাদন করে দেবে।” এরপরও লোকজন বললো, “একাজও যদি সমম্ভব না হয়?” রাসূলুল্লাহ (সা:) প্রত্যুত্তরে জানালেন, “তাহলে কোন খারাপ কাজ করবে না। এটাও একপ্রকার সদকা যা তোমরা নিজেদের উপর নিষ্পন্ন করতে পার।” (আদাবুল মুফরাদ, বুখারী, ভ্রাতৃ সাহায্য অধ্যায়)

একবার রাসূলুল্লাহ (সা:) সাহাবাদের লক্ষ্য করে বললেন, “আল্লাহপাক বান্দাহদেরকে লক্ষ্য করে বলবেন, আমি তোমাদের কাছে আহার চেয়েছিলাম, তা তোমরা দাওনি। তারা বলবে, হে পরওয়ারদিগার! তুমি কেমন করে আহার চেয়েছিলে, তুমি তো সবকিছুর প্রতিপালক। আল্লাহ বলবেন, তোমাদের কি মনে নেই যে, অমুক ব্যক্তি তোমাদের কাছে আহার চেয়েছিল? তোমরা তাকে আহার দান করনি। যদি তোমরা তাকে আহার্য দান করতে, তাহলে আমার কাছ থেকে এর প্রতিদান লাভ করতে। হে বনী আদম! আমি তোমাদের কাছে পানি চেয়েছিলাম। কিন্তু তোমরা আমাকে পানি পান করাওনি। তারা বলবে তুমি হলে পরওয়ারদিগার। আমরা কিভাবে তোমাকে পানি পান করাব? তুমিই তো সারা জাহানের পালনকর্তা। আল্লাহ বলবেন, “তোমাদের কি মনে নেই যে, অমুক ব্যক্তি তোমাদের কাছে পানি চেয়েছিল, কিন্তুু তোমরা তাকে পানি দাওনি। যদি তাকে পানি পান করাতে তাহলে আজ এর প্রতিদান লাভ করতে।

হে বনী আদম! আমি অসুস্থ ছিলাম। তোমরা আমার সেবা-শুশ্রুষা করনি। তারা বলবে, হে পরওয়ারদিগার! আমরা কিভাবে তোমার সেবা-শুশ্রুষা করব? তুমি নিজেই তো বিশ্বপ্রতিপালক। আল্লাহ বলবেন, তোমার কি জানা নেই যে, আমার অমুক বান্দাহ রুগ্ন ছিল। তুমি তার পরিচর্যা করনি। তুমি তার পরিচর্যা করনি। যদি তোমরা তা করতে তাহলে তা আমার কাছে লাভ করতে বা আমাকে তার কাছে পেতে।” (আদাবুল মুফরাদ, বুখারী, রুগীর সেবা অধ্যায়) এই প্রাণস্পর্শী ঘটনাবলীতে আল্লাহর পরিচয়ের সেতুবন্ধুনকে কতখানি সুস্পষ্ট ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে, তা খুবই প্রণিধানযোগ্য। এতে খোলাখুলিভাবে ফুটে উঠেছে যে, আল্লাহর ইবাদত করা ও তাঁর খোশনুদী অর্জন করার পথ কত বিস্তৃত, কত ব্যাপক।

হযরত সায়াদ (রা:) চাচ্ছিলেন যে, স্বীয় সকল দৌলত আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেবেন। রাসূলুল্লাহ (সা:) তাকে বললেন, হে সায়াদ! তুমি যা কিছু এই নিয়তে খরচ যে এর দ্বারা আল্লাহর সন্তুুষ্টি অর্জন করবে, সুতরাং এর সওয়াব তুমি অবশ্যই লাভ করবে। এমনকি যে লুক্মা তুমি স্বীয় স্ত্রীর মুখে তুলে দেবে, এর পুণ্যও তুমি লাভ করবে। (আদাবুল মুফরাদ) আর একবার তিনি হযরত আবু মাসউদ আনসারী (রা:)-কে লক্ষ্য করে ইরশাদ করলেন, কোনও মুসলমান যদি সওয়াবের নিয়তে স্বীয় স্ত্রীর খরচ বহন করে, তাহলে এটাও হবে সদকার সমতুল্য। গরীব ও দু:স্থ সাহাবীগণ একদিন দরবারে রিসালতে এই আরজী পেশ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দৌলতমান্দ লোকজন সওয়াবের ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছেন। আমাদের মত তারাও নামাজ পড়েন, তারাও রোজা রাখেন। এরপরও তারা ইবাদতে মালী সম্পাদন করেন। যা আমরা সম্পাদন করতে পারি না। রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, আল্লাহ পাক কি তোমাদেরকে দৌলত দান করেননি, যা তোমরা সদকা করতে পার? তোমাদের ‘সুবহানাল্লাহ’ এবং ‘আলহামদুলিল্লহা’ বলাও সদকা। এমনকি যদি কেউ স্বীয় নফসানী খায়েশকে বৈধ পস্থায় পুরা করে, এটাও সওয়াবের কাজ। লোকজন আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেতো নিজের তৃপ্তির জন্য একাজ করে। ইরশাদ করলেন, সে যদি নাজায়েয পন্থায় নিজের অভিলাস পূরণ করত তাহলে কি তার গোনাহ হত না? সুতরাং বৈধ পন্থায় তা পুরা করলে কেন সওয়াব পাবে না? (সহীহ বুখারী : কিতাবুন নাফাকাত)

রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর এসকল শিক্ষার দ্বারা আন্দাজ করা যাবে যে, উত্তম আমলও সওয়াব এবং ইবাদতের মর্ম ইসলামে কতখানি বিস্তৃত। আর এর দ্বারা বহু মানবিক অহেতুক ভুলও অপসারিত হয়ে গেছে। এই বিশ্লেষণের পর সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, অহীয়ে মুহাম্মদী (সা:) পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ পন্থায় মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে ইবাদতে ইলাহী বলে সাব্যস্ত করেছে। আল-কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “আমি মানব এবং জ্বিন সম্প্রদায়কে এজন্যই পয়দা করেছি, যেন তারা আমার ইবাদত করে।” (সূরা যারিয়াত : রুকু-৩) এই আয়াতে পাকে ইবাদতের অর্থ এতটা সংকীর্ণ নয়, তা সাধারণত: ধারণা করা হয়। বরং সকল নেক আমল, উত্তম ও মঙ্গলজনক কাজই ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যেগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহর সামনে স্বীয় বন্দেগীর প্রকাশ এবং তাঁর প্রতি আনুগত্য ও খোশনুদী অর্জনের লক্ষ্যে করা হয়। এই বিস্তৃত পরিম-লে মানুষের সারা জীবনের কাজই শামিল রয়েছে। যেগুলো সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেয়ার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা রূহানিয়াতের ঐ গোপন রহস্য যা কেবলমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর মাধ্যমেই পৃথিবীবাসী জানতে পেরেছে।

সাধারণবাবে একথা মশহুর হয়ে আছে যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে চার শ্রেণীর ইবাদত ফরজ। অর্থাৎ নামাজ, রোজা, যাকাত এবং হজ্জ। এর দ্বারা এই সন্দেহ যেন না হয় যে, এ সকল ফারায়েজ সুনির্দিষ্ট করার দ্বারা ইবাদতের বিস্তৃত পরিম-লকে সীমিত করে দেয়া হয়েছে। মূলত: এই চার শ্রেণীর ফরজ ইবাদতের অগণিত অর্থ ও মর্ম শাখা-প্রশাখার সীমাহীন দফতরকে চারটি বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। যার মাঝে প্রত্যেক শ্রেণীর ইবাদত স্বীয় শাখা-প্রশাখা এবং বিস্তৃতি সম্বলিত এগুলোর সংক্ষিপ্ত শিরোনামের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। যেভাবে কোনও বিশাল বিস্তৃত বিষয়বস্তুুকে একটি সংক্ষিপ্ত শব্দের দ্বারা প্রকাশ করে বিশাল মজমুনের উপর স্থাপন করা হয়, অনুরূপভাবে এই চারটি ফারায়েজকে মূলত: মানুষের যাবতীয় নেক আমলকে চারটি পৃথক শিরোনামে ব্যক্ত করা হয়েছে মাত্র। আর এ কারণেই মূখ্য চারটি আমলকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করে চারটি মূল উৎস সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে।
১। বান্দাহদের ঐ সকল নেককাজ ও ভালো কর্ম যার সম্পর্ক খালেক এবং মাখলুকের মাঝে বিদ্যমান তাকে একটি পৃথক শিরোনাম দেয়া হয়েছে। আর এই শিরোনামই হচ্ছে নামাজ’।
২। আর ঐ সকল মঙ্গলানুষ্ঠান ও পুণ্যকর্ম যা প্রত্যেক মানুষের অন্যান্য উপকার ও আরামের লক্ষ্যে সম্পাদন করা হয়, এগুলোর শিরোনাম হচ্ছে সদকা এবং যাকাত।
৩। আল্লাহর পথে সকল প্রকার আত্মিক ও দৈহিক কুরবানী পেশ করা কোনও সুদুদ্দেশ্য পূরণের জন্য দু:খ-কষ্ট সহ্য করা এবং মন-মস্তিষ্ককে দৈহিক চাহিদা মিটানো এবং ক্ষতিকর খাহেশাতের নাপাকী হতে পবিত্র রাখা, এর অনুশীলনের শিরোনাম হচ্ছে রোজা। যদ্বারা মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের অন্তরায় প্রতিবন্ধকসমূহ দূরীভূত হয়ে যায়। আর একথাও বলা যায় যে, আত্মোৎসর্গ কূরবানীর যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়াবলী ও সৌন্দর্য বিকাশের মোক্ষম পন্থা হচ্ছে রোজা।
৪। মুসলিম বিশ্বে মিল্লাতে ইব্রাহীমের ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যরে বাস্তব চিত্র এবং সুশৃঙ্খল একতার বুনিয়াদী ফল্গুধারা কেবলমাত্র ইত্তেহাদ ও একতার মাধ্যমেই বিকশিত হয়ে উঠে। এই কেন্দ্রীয় আবাদী ও রুজী অর্জনের সে চেষ্টা ও প্রয়াস, তাকেই হজ্জ শিরোনামে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
এবার চিন্তা করে দেখুন, মানুষের সকল নেক আমল ও মঙ্গলকর কর্মকা- এই চারটি মূল নীতির মাঝেই সম্পৃক্ত আছে। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, “ইসলামের বুনিয়াদ পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। (ক) তাওহীদ ও রিসালতের স্বীকৃতি প্রদান করা, (খ) নামাজ আদায় করা, (গ) রোজা রাখা, (ঘ) যাকাত দেয়া এবং (ঙ) হজ্জ আদায় করা। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম : কিতাবুল ঈমান) প্রথমোক্ত বস্তুুর মাঝে আকায়েদ ও বিশ্বাস সংক্রান্ত যাবতীয় দফতর প্রচ্ছন্ন রয়েছে। আর বাকী চারটি জিনিস একজন মুসলমানের সকল নেক আমল এবং মঙ্গলকর কার্যাবলীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এসকল স্তম্ভরাজির উপরই ইসলামের বৃহত্তর ইমারত দাঁড়িয়ে আছে।

এই অভিভাষণের মর্ম এই নয় যে, এই চারটি ফরজ ইবাদত নামাজ, যাকাত, রোজা এবং হজ্জ মূল যথার্থ লক্ষ্যস্থল নয়। বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, এই চার শ্রেণীর ইবাদতসমূহ নিজস্ব শাখা-প্রশাখার সাথে মিলিত হয়ে সামগ্রিকভাবে ফরজ ও অপরিহার্য। যে ব্যক্তি শিরোনাম প্রযুক্ত এসকল ফারায়েজকে আদায় করেন এবং এর অধ্যায়ের মাঝে সম্পৃক্ত শাখা-প্রশাখার প্রতি অসচেতনতা প্রদর্শন করে, এর ইবাদত হয় অসম্পূর্ণ ও অসমর্থিত। আর এরই জন্য দ্বীন ও দুনিয়ার সেই কামিয়াবী ও মুক্তি অর্জিত হয়, যার ওয়াদা আল্লাহ পাক করেছেন। যে ব্যক্তি সন্দেহপ্রবণ এর দ্বারা যাবতীয় সন্দেহের অপনোদন হয়ে যায়। সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তির দ্বারা একথাও সূচিত হয় যে, আমাদের নামাজসমূহ কেন আমাদেরকে খারাবী হতে বিরত রাখে না? আমাদের রোজা কেন আমাদের তাকওয়া ও পরহেজগারীর সম্পদ দান করে না? আমাদের যাকাত কেন আমাদের অন্তরসমূহ পাক-সাফ করে তোলে না। আমাদের হজ্জ আমাদের মাগফেরাতের উসিলা কেন হয় না? এবং প্রথম যুগের মত আমাদের নামাজসমূহ দেম জয় এবং আমাদের যাকাতগুলো আমাদের সম্প্রদায়ের দারিদ্রতাকে কেন দূর করে না এবং আমাদের সামনে দ্বীন ও দুনিয়ার অঙ্গীকারকৃত নেয়ামত ও বরকতসমূহের স্তূপ কেন স্থাপিত হয় না? কিন্তুু আল্লাহ পাকের ওয়াদা হচ্ছে এই যে, “আল্লাহ পাক ঐসকল ব্যক্তি যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, এই অঙ্গীকার করেছেন যে, আমি তাদেরকে পৃথিবীতে খলীফা মনোনীত করব।” (সূরা নূর : রুকু-৭) ঈমানে কামেল ও নেক আমল ছাড়া এই অঙ্গীকার পূরণের আশা পূরণ করা মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয়।

অনুরূপভাবে এই চার প্রকার সুস্পষ্ট শিরোনাম সম্বলিত আহকামগুলো পরিহার করে শুধু তৎসন্নিহিত শাখা-প্রশাখার বাস্তবায়নের দ্বারা ক্ষণভঙ্গুর পৃথিবীর বাদশাহী লাভ করা হয়ত সম্ভব হতে পারে। কিন্তু ঐশী বাদশাহীর কোন অংশ মোটেও লাভ করতে সক্ষম হবে না। আর ইসলাম এজন্য এসেছে, এর অনুসারীদের কদমের নীচে উভয় জাহানের বাদশাহাত এনে দিতে পারে। (সীরাত ইবনে হিশাম : অফুদে কুরাইশ প্রসঙ্গ) এবং তা তখনই সম্ভব, যখন ইবাদতের অর্থ ও মর্ম পূর্ণ বিস্তৃতিসহ জীবনে বাস্তবায়িত হবে, যা ইসলামের একমাত্র লক্ষ্য এবং ইসলামের মূল চেতনা এর মাঝেই নিহিত আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ