পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আওতায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সারা দেশে দুটি সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, বরিশাল, সিলেট ও রামুতে তিনটি স্ট্যাটিক সিগন্যাল কোম্পানি ও চারটি ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আওতার সেনাবাহিনীতে সাইবার ওয়ারফেয়ার গ্রুপ, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিট, স্যাটকম ইউনিট এবং স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সমিশন ইউনিট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এসব পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর সমরশক্তি ও যোগাযোগ সক্ষমতা আরো সুসংহত করবে।’- প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ এসব কথা বলেছেন।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘মনে রাখতে হবে জনগণের কষ্টার্জিত করের টাকায়ই দেশের উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রের যাবতীয় ব্যয়ভার মেটানো হয়। তাই জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি জনগণের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। রাষ্ট্র ও সরকারের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় জনগণের কল্যাণে। তাই আপনাদের দায়িত্ব পালনকালে জনস্বার্থ ও জনকল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) যশোর সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের ৬ষ্ঠ কোর পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে রাষ্ট্রপ্রধান এ আহ্বান জানান।
এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো: আবদুল হামিদ জাতির পিকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান আশা করেন, দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনী শুদ্ধাচার কৌশল যথাযথভাবে প্রতিপালন করবে এবং সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।
দেশে ও বিদেশে সেনাবাহিনীর অবদানের প্রশংসা করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সেনা সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে, যা বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বজায় রেখেছে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও একইভাবে জনকল্যাণমূলক কাজে সশস্ত্রবাহিনীকে অবদান রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।