মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক: ব্রিটেন যদি ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে এরপর বেরিয়ে যেতে পারে সুইডেন ও জার্মানি। যদি তা-ই ঘটে তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে। এমন কথা বলেছেন রাজনীতিকরা, বিশেষজ্ঞরা। যদি সুইডেন এমন গণভোট দেয়া তাহলে তার নাম হতে পারে সুয়েক্সিট। জার্মানি গণভোট দিলে তার নাম হতে পারে জারেক্সিট। এ বিষয়ে অনলাইন স্কাই নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার শিরোনাম আফটার ব্রেক্সিট, উড ইট বি সুয়েক্সিট অ্যান্ড জারেক্সট? এতে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের ভোটের ফল ইউরোপের অন্য দেশগুলোকে ঠেলে দিতে পারে অনিশ্চয়তায়। যদি ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে এ পথ অনুসরণ করতে পারে অন্যরা। এক্ষেত্রে সুইডেনের কথাই ধরা যাক। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রিয় একটি দেশ। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, সুইডেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকতে। কিন্তু ব্রিটেন যদি বেরিয়ে যায় তাহলে তার একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সুইডেনে। কারণ, এ দেশটি ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্যের একটি প্রকৃতিগত মিত্র। দুটি দেশই বহির্দৃষ্টি সম্পন্ন, ব্যবসায়বান্ধব। তাছাড়া তারা ব্রিটেনকে অনুসরণ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিন্ন মুদ্রা ইউরো হলেও ব্রিটেন তার নিজস্ব মুদ্রা পাউন্ড ব্যবহার করে। তাকে অনুসরণ করে সুইডেনও তার নিজস্ব মুদ্রা ক্রোনা ব্যবহার করে। অর্থাৎ দুটি দেশের একটিও ইউরো ব্যবহার করে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেন যে পথ অনুসরণ করে সুইডেনও সেই পথে যায়। তারা ব্রিটেনের সঙ্গে ভোট দেয়। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটি বৃহৎ জাতিগোষ্ঠীর সংগঠন হিসেবে দেখে। এক্ষেত্রে তারা যুক্তরাজ্যকে দেখে ভারসাম্য রক্ষাকারী একটি দেশ হিসেবে। ফলে সেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য যদি বেরিয়ে আসে সেক্ষেত্রে সুইডেন মনে করতে পারে যুক্তরাজ্য তাদেরকে ত্যাগ করেছে। এটা সুইডেনের জন্য গভীর এলার্মিং। স্কাই নিউজের প্রতিনিধি সুইডেনের রাজপথে যাকেই এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছেন সবাই উত্তর দিয়েছেন, ব্রিটেন বেরিয়ে গেলে তা হবে এক বিপর্যয়। ইউরোপিয়ান অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান লিন্ডে সহ সরকারের অনেক মন্ত্রী প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, তারা এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে তারা যথাসম্ভব করেছেন। মন্ত্রী অ্যান লিন্ডে বলেছেন, সুইডেনের মানুষ যা বলছেন আমার মনে হয় তা অব্যাহত রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। অর্থাৎ বেশির ভাগ সুইডিশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের সেই ধারা ধরে রাখা কঠিন হবে। তিনি বলেন, ফ্রন্স ও জার্মানি বলেছে, যদি আপনি থাকতে চান থাকুন। যদি চলে যেতে চান তাহলে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ঐক্য ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু আপনাকে আপনার অধিকার ও দায়দায়িত্ব নিতে হবে। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিসের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে মত দিয়েছেন। সর্বশেষ এক জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সুইডিশ বলছেন, যদি ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে সুইডেনেরও সেই পথ অনুসরণ করা উচিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গোরাল ভন সাইডো স্কাইনিউজকে বলেছেন, ব্রিটেন বেরিয়ে গেলে তা সুইডিশদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে। তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতি ঘটতে পারে। সুইডেন ডেমোক্রেটিক দলের ডানপন্থি এমপি পলা বিয়েলারের মতো অনেক এমপি মনে করেন, ব্রেক্সিটের ফলে সুয়েক্সিটের নেতৃত্ব দিতে পারে। এই সুয়েক্সিট হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সুইডেনের বেরিয়ে যাওয়ার গণভোট। তিনি বলেন, আমি আশা করছি এক্ষেত্রে আমাদেরকেও গণভোট দিতে হতে পারে। এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে হতে পারে। তাতে আমাদেরকে নতুন নতুন পথ খুঁজে নিতে হবে। তখন আমাদেরকে বড় সংগঠন তৈরির চেয়ে ইউরোপজুড়ে কাজ করতে হবে সমন্বিত উপায়ে। ওই সংগঠনে আমাদের শক্তি হারাতে নষ্ট হয়। আমাদের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়। একই ঘটনা ঘটতে পারে জার্মানির ক্ষেত্রেও। সেখানে এমন গণভোট হলে তার নাম হতে পারে জার্মেক্সিট। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।