Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজাপুরে ৩১শয্যা থেকে৫০ শয্যা উন্নীত হলে ও জনবল সংকট বিগত ১০ বছরে মেটেনি

রাজাপুর ( ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১:০৫ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১০ সনে ঘোষণা হলে ২০১৯ সনে জনবল সংকট এ চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত রাজাপুরের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ।ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ দুস্থ, গরীব অসহায় রোগীরা।

২জন ডাক্তার দিয়েই চলছে চিকিৎসার কাজ। ২৮ জন ডাক্তারের মধ্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে মাত্র ২জন ডাক্তার। এতে চরম জনবল সংকটে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
শনিবার,৩০ নভেম্বর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন-আসন্ন মঙ্গলবার,৩ ডিসেম্বরে অবসরে যাচ্ছেন তিনি ,আর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. উদয় কুমার মিত্র ছুটিতে। অপর ডা. মিতু দেবনাথ এ বছর ১০ অক্টোবর যোগদান করেছেন নলছিটি থেকে রাজাপুরে।তিনি এফসিপিএস সার্জন,তিনি ও হয়ত থাকবেন না, ডাক্তার মাহবু্ুবুর রহমান আরও বলেন- ২০১০ সনে ৩১ শয্যা থেকে

৫০ শয্যায় উন্নীত ঘোষনা হলে ও সেভাবে জনবল পাওয়া যায়নি।অনেক বার জনবল সংকটের কথা উর্ধতন মহলে জানানো হলে ও আজ পর্যন্ত জনবল সংকট মেলেনি।৩১ শয্যার মন্জুরীকৃত চিকিৎসক ১৫ জন,পক্ষান্তরে ৫০ শয্যার জন্য ২৮ জন চিকিৎসক।এ ছাড়া ও রোগীর এতো চাপ যে
দীর্ঘ লাইনে সেবা গ্রহীতারা অধৈর্য হয়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে কোটি টাকা মূল্যের এ-ক্সরে মেশিনসহ বেশ কয়েকটি মূল্যবান মেশিন পড়ে রয়েছে অপরেটরের অভাবে। পরপর ২টি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।ইনডেন্ট দিলে বরাদ্দ মেলেনি।

আগত বিভিন্ন রোগীর সাক্ষাতকারে জানা যায়-প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত হাসপাতালে ডাক্তার/স্টাফদের আসার কথা থাকলেও অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকেই সকাল সাড়ে ৯টার পর এসে দুপুর ১টা পূর্বেই কর্মস্থল ত্যাগ করতে দেখা গেছে। আর সকল হলেই হাসপাতালের বারান্দায় ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের উৎপাত ।

রাজাপুর উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপস্থিত একমাত্র ডাক্তার ডা. মিতু দেবনাথ বলেন--, ২ জন সহকারী নিয়ে পুরো ৫০ শয্যার হাসপাতাল সামলাতে হচ্ছে। অনেক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। যেখানে ২৮ জন ডাক্তার সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসাসেবা দেয়ার কথা থাকলেও ২ জন ডাক্তার ক্লান্ত হয়ে যান।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান আমাদের রাজাপুর উপজেরা সংবাদদাতাকে বলেন, উপজেলায় একমাত্র সরকারি হাসপাতালের এমন অবস্থা ভাবতেও কষ্ট হয়। আমি আমার এলাকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি,অনেক চিল্লা চিল্লি করছি, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আলাপ করেছি,কোন ফল আসেনি, অামি চেস্টা করতেছি, আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।তবে আমাদের এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য হাসপাতালের সভাপতি,তিনি মহাপরিচালক পর্যায়ে তদবির করলে সমাধান দ্রুত হতে পারে। এলাকার সাধারন মানুষ অনতি বিলম্বে সমস্যা সমাধানে উর্বধতন মহল তথা মাননীয় স্বাস্হ্য মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাসপাতালে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ