মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ‘মহাত্মা গান্ধীর শত্রু’ বলে কটাক্ষ করলেন অল-ই-িয়া-মজলিশে ঈত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। পাশাপাশি ‘মহাত্মা গান্ধীর খুনিদের সমর্থক’ বলেও সম্বোধন করেন ওয়েইসি। সংসদে নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই বিজেপি সাংসদের ঊদ্দেশে এই মন্তব্য করেন।
গতকাল ওয়েইসি লোকসভা স্পিকারকে প্রজ্ঞা ঠাকুরের মন্তব্য নিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দিল্লীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে ওয়েইসি বলেন, ‘এটা প্রথমবার নয় যে, তিনি এইরকম মন্তব্য করেছেন। এটাই প্রমাণ করে, সে মহাত্মা গান্ধীর শত্রু এবং মহাত্মা গান্ধীর খুনিদের সমর্থক। আমি প্রিভিলেজ মোশন দিয়েছি, দেখা যাক কী হয়।” এই প্রসঙ্গে অল-ই-িয়া মজলিশে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘আমি লোকসভার ২২৩ এবং ২২৪ ধারায় প্রিভিলেজ মোশন দিয়েছি। নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কি পদক্ষেপ নেবেন নাকি আরও একটি নোটিশ পাঠাতে হবে?”
সংসদে দাঁড়িয়ে নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলে মন্তব্য করে ফের বিপাকে পড়েছে ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। যার ফলে আবারও বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এরপরেই বিতর্কের মুখে পড়ে প্রতিরক্ষা কমিটির পদ থেকে সরানো হয় সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। ডিএমকে সদস্য এ রাজা যখন স্পেশ্যাল প্রোটেকশন বিল নিয়ে কথা বলছিলেন সেই সময়ে তিনি নাথুরাম গডসের প্রসঙ্গ তোলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে থামিয়ে দিয়ে সাধ্বী প্রজ্ঞা জানান, এভাবে তিনি একজন দেশভক্তের উদাহরণ দিতে পারেন না। কংগ্রেস নেতারা তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এ রাজা জানান, ৩২ বছর ধরে গডসে মহাত্মা গান্ধীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন।
এটাই প্রথম নয় এর আগেও মালেগাঁও বিস্ফোরণের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি ভোপাল থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। এর আগেও তার মন্তব্য গেরুয়া শিবিরকে যথেষ্ট অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সতর্ক করেছিলেন। গান্ধীজিকে নিয়ে করা মন্তব্য যে সমর্থনযোগ্য নয় তা তিনিও জানিয়েছিলেন। তিনি যে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ক্ষমা করবেন না তাও জানিয়েছিলেন।
এদিন সাধ্বীর এই মন্তব্যর ফলে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় বিজেপি নেতাদের। কংগ্রেস নেতারা নাথুরাম গডসেকে নিয়ে এহেন মন্তব্যর জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতারা। নরেন্দ্র মোদির ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। এর প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস সাংসদেরা। তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য পরে সাংসদ জানিয়েছেন সংসদে তিনি ঐতিহাসিক উধম সিং-কে নিয়ে কথা বলেছেন। সূত্র : কোলকাতা২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।