পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গুলশানের হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল বুধবার নিজ মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, তিন বছর আগে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদন্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। চাঞ্চল্যকর যেসব মামলা দেশের শিকড়ে ধাক্কা দেয়, সেটা শেষ করতে পারছি সেটিই সরকারের সন্তুষ্টির কারণ।
আনিসুল হক বলেন, আমরা সারা বিশ্বে প্রমাণ করেছি যে, এ রকম ঘটনার দ্রুত বিচার হয়। ফাঁসির দন্ড পাওয়া ৭ আসামি হলেন- রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। আর খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান। মিজানের খালাসের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এখনো আমি রায়টা পড়িনি। দেখার পর ওই আসামির খালাসের বিষয়ে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৭ জঙ্গির কারো মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং আদালতকক্ষ থেকে বের করার সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি পরে ছিলেন।
এরপর আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার পর আরো এক জঙ্গিকেও কালো কাপড়ে তৈরি একই রকম টুপি পরতে দেখা যায়। ওই জঙ্গির নাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী। আসামির টুপি পরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, এক আসামির আইএসের টুপি পরা অবস্থায় আদালতে নেয়ার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়কে জঙ্গিবাদ প্রশমনে ‘যুগান্তকারী’ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গতকাল দুপুরে রায়ের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। সরকারের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা আরো বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে একটি সামাজিক আন্দোলন দরকার। কারণ যারা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছে এই রায় তাদের কাছে একটি বার্তা। দুঃখজনক ব্যাপার যারা বিত্তবান ঘরের ছেলে তারাই ভালো স্কুলে পড়াশোনা করছে তারাই এসব জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আমাদের দেশ যে জঙ্গিবাদ উৎপাটনের ক্ষেত্রে আন্তরিক এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সক্ষম এই মামলার রায় থেকে এটি প্রমাণ হচ্ছে।
মাহবুবে আলম বলেন, হলি আর্টিজানে নৃশংস হামলার ঘটনাটি আমাদের দেশের ভাবমর্যাদা অনেকটা ম্লান করেছিল। এ রায়ের ফলে আমাদের সেই ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হবে। আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের যে তৎপরতা এটি প্রমাণিত হয়েছে।
বিচারের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ রায়ের পরে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য) হিসেবে মামলাটি হাইকোর্টে আসবে। তখন আমরা আমাদের সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে এ মামলাটি পরিচালনা করার চেষ্টা করব, যাতে জঙ্গিবাদের ব্যাপারে আদালত যে রায় দিয়েছেন, সে রায়টি বহাল থাকে।
তিনি বলেন, অন্য যারা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছে এই রায় তাদের কাছে একটা বার্তা। দুঃখজনক ব্যাপার যারা বিত্তবান ঘরের ছেলে তারাই ভালো স্কুলে পড়াশোনা করছে, তারাই এসব জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এর আগে গতকাল গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে ৭ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং একজনকে খালাস দেন ঢাকার আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।