Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে আদালতপাড়া

হলি আর্টিজানের রায় আজ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় আজ বুধবার ঘোষণা করবেন আদালত। এ উপলক্ষে ঢাকার আদালত পাড়ায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত থেকেই আদালত পাড়া এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পোষাকদারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্বপালন করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার আদালত পাড়া পরিদর্শন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম ও কৃষ্ণ পদ রায়। পরিদর্শন শেষে তারা আদালত পাড়ার বিশেষ নিরাপত্তায় লালবাগ ডিভিশন ও আদালতের ডিসি প্রসিকিউশনকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।

ঢাকার আদালতের ডিসি প্রসিকিউশন জাফর হোসেন বলেন, হলি আর্টিজান মামলার রায় উপলক্ষে ডিএমপির দুই অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার আদালত এলাকা পর্যাবেক্ষণ করেছেন। তারা বিশেষ নিরাপত্তার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও হামলার কোনো আশঙ্কা নেই, তবে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
ওই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খান জাকির বলেন, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায়ে ৮ আসামির মৃত্যুদন্ড আশা করছি। আমরা সাক্ষ্য প্রমাণে তা প্রমাণ করতে পেরেছি যে, আসামিরা অপরাধী। তাই আমরা আশা করছি, ৮ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেবেন বিচারক।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সাক্ষীর জেরা ও যুক্তি উপস্থাপনে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি আসামিরা অপরাধ করেননি। তাই আমরা রায়ে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানার ওসি মঈনুল ইসলাম বলেন, হাজাতখানা থেকে এজলাসে আসামিদের আনা নেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়েরের তিন বছর চার মাস পর বুধবার দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ৮ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। একই বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।

অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২১ আসামির মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। অভিযোগপত্রের ৮ আসামি হলো হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তারা সবাই কারাগারে।
ঘটনাস্থলে নিহত ৫ আসামি হলো- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

আর বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ আসামি হলো- তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।



 

Show all comments
  • Abdul Kaiyum ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    Masterminds were killed in cross fire
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    Almost main accused were killed.
    Total Reply(0) Reply
  • MD Mekaiel Islam ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৮ এএম says : 0
    শুধু গাছের পাতা ছেড়া নয়,একেবারে মূল উপড়ে ফেলে দিতে হবে. জঙ্গি কারা তৈরি করছে, মদদ দিচ্ছে কারা, অস্ত্র কোথা থেকে আসছে, অস্ত্রগুলো কোন দেশের তৈরি, কোন প্রতিষ্ঠান এর সাথে জড়িত আছে সবকিছু বিবেচনা করে সর্বোচ্ছ ব্যবস্থা নিতে হবে.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Saeed ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৯ এএম says : 0
    যেখানে শয়তান থাকে সেখানে আবার জঙ্গি!
    Total Reply(0) Reply
  • সাদ্দাম ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৯:৫৯ এএম says : 0
    হামলার কোনো আশঙ্কা না থাকলেও আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আসলাম ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:০০ এএম says : 0
    এরা মানবতার শত্রু
    Total Reply(0) Reply
  • ইমরান ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:০০ এএম says : 0
    আশা করি অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জঙ্গি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ