পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ১৯৮০’র দশক থেকে মিয়ানমার রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার নেদারল্যান্ডের হেগে রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) সদর দফতরে এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সহকারী সচিব থমাস দি নান্নো।
সংস্থাটির বার্ষিক সভায় নান্নো জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ভারী মাস্টার্ড গ্যাস উৎপাদনের একটি ক্ষেত্রে এখনো রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে। তাদের কনভেশন লঙ্ঘন করার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাতে আসা উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এটা নিশ্চিতভাবে বলছে যে, মিয়ানমার স্পষ্টতই রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন লঙ্ঘন করছে। কেননা এর আগে তারা তাদের অতীত রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে কিছু জানায়নি এবং এখনো তারা তাদের রাসায়নিক অস্ত্র ক্ষেত্রটিও ধ্বংস করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইস্যুটি নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেছে ওয়াশিংটন। অস্ত্র ধ্বংস করতে মিয়ানমারকে সহায়তা করার জন্যও প্রস্তুত আমরা।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ১৯১তম দেশ হিসাবে মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনে (সিডাব্লিউসি) স্বাক্ষর করে। কনভেনশন অনুযায়ী স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার, উৎপাদন কিংবা মজুত নিষিদ্ধ। কনভেনশনের মাধ্যমে গঠিত সংস্থা ‘ওপিসিডাব্লিউ’ মুলত বিশ্বে রাসায়নিক অস্ত্রের বিষয়টির ওপর নজরদারি করে।
ওয়াশিংটনের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার ১৯৮০’র দশক থেকে রাসায়নিক অস্ত্র বানানো ও মজুদ করা শুরু করেছিল। ২০১৫ সালে ‘সিডাব্লিউসি’তে সাক্ষর করার পর তাদের সেই মজুদ ধ্বংস করার কথা ছিল। কিন্তু, তারা সেটি না করে সিডাব্লিউসি’র আইন অমান্য করছে।
এর আগেও মিয়ানমার এ জাতীয় অস্ত্র সংরক্ষণ ও ব্যবহারের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিল। ২০০৫ সালে লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড অভিযোগ করেছিল, সাবেক সামরিক জান্তা কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ২০১৩ সালে দেশটির পুলিশ উত্তরের একটি তামার খনিতে বিক্ষোভকারীদের দমাতে ফসফরাস গ্যাস ব্যবহার করেছিল। যার ফলে বিক্ষোভকারীরা গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমারে পাঁচ সাংবাদিককে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। কারণ তারা সামরিক বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করার ব্যাপারে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।