গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষের ততই বাড়ছে ব্যস্ততা। বাড়ছে কেনাকাটা। সেইসঙ্গে বাড়ছে যানজট। রাজধানীতে তীব্র হচ্ছে যানজট। গতকাল বুধবার যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী। একদিকে যানজট অপরদিকে গণপরিবহন সঙ্কটে পায়ে হাঁটতে গিয়ে কোথাও কোথাও জনজটেরও সৃষ্টি হয়। রাজপথে যানবাহনের লম্বা সারি, ফুটপাতেও ব্যস্ত মানুষের ছুটে চলা। গণপরিবহনে প্রচ- ভিড়। তারপরও নির্দিষ্ট গন্তব্য পৌঁছতে প্রাণান্ত চেষ্টা কর্মজীবী মানুষের।
দিন শুরুর পর সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাড়তে থাকে ঢাকার যানজট। সকালের দিকে ঢাকার চিরচেনা যানজটের পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও দুপুরের পর থেকে যেন থমকে যায় পুরো শহর। প্রতিটি সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। সড়কগুলোতে যানজটে যানবাহন চলাচল প্রায় থমকে যায়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর সব সড়কেই প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়।
গতকাল সবচেয়ে বেশি যানজটের চিত্র দেখা গেছে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, শাহবাগ, নিউমার্কেট, পল্টন, গাবতলী, টেকনিক্যাল মোড়, মিরপুর ১ নম্বর, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, গুলশান ও বনানীর রাস্তায়। বেলা ৩টার দিকে ঢাকার সব রাস্তার চিত্র দেখা গেছে প্রায় একই রকম। বেলা ৩টায় পুরানা পল্টন থেকে রিকশায় টিকাটুলি যেতে সময় লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা। সাতরাস্তা মোড়ে দীর্ঘ সময় একই স্থানে গাড়ি আটকে থাকে দীর্ঘ সময়। গণপরিবহনের অনেক যাত্রীকেই বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে চলতে দেখা গেছে। অসহনীয় এ যানজটে মানুষের কাজের সময় নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। বিকেল ৪টায় অফিস শেষে বাস না পেয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন কর্মজীবী মানুষ। অনেককেই বাসায় ফিরতে না পেরে বাসের ভেতর বসেই ইফতারি করতে হয়েছে। তবে যানজট প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাবরের মতোই একই বক্তব্য, যানজটে নগরবাসীর দুর্দশা লাঘবে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।