নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির প্রস্তাবনা শুরু থেকেই মানতে পারেননি প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। গত ১৯ জুন বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি অনুমোদিত হওয়ায় দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শংকায় মনোক্ষুণ হয়ে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০০৩-২০০৭ এবং ২০১৩-২০১৬ এই দুই মেয়াদের সফল প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার এই প্রতিক্রিয়া মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়াকে ভালোভাবে মেনে নেয়নি বিসিবি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ফারুকের পরিবর্তে প্রথম স্তরের তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ জয়ের নায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর নাম ঘোষণা করেছেন বিসিবি সভাপতিÑ‘আমি সব সময় আশা করেছিলাম, ফারুকের যদি কিছু বলার থাকে, তা আমাকে বলবে। ফারুকের সঙ্গে আমি একসঙ্গে কলকাতায় গিয়েছিলাম আইপিএলে হায়দারাবাদ-কোলকাতার খেলা দেখতে। আমি যে হোটেলে ছিলাম, রাতে আমার সেই হোটেলেও এসেছিল, অনেক কথা হয়েছে। তখনও কিন্তু সে এ ব্যাপার নিয়ে কিছু বলেনি। এরপর হয়েছে, তা খুব দুঃখজনক। আমি আশা করেছিলাম, সমস্যা থাকলে সে আমাকে সরাসরি বলবে। গত ডিসেম্বরের পর নির্বাচক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই নুতন প্রধান নির্বাচক হিসেবে নান্নুকে মনোনীত করা হয়েছে।’
২০১১ সালের বিশ্বকাপ পরবর্তী আকরাম খানের নির্বাচক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু নান্নুর। নির্বাচক হিসেবে ফারুকের পার্টনার ছিলেন তিন বছর। ৫ বছর পর প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে বোর্ডের আস্থার প্রতিদান দিতে চান নান্নুÑ‘খুব ভালো লাগছে, কারণ পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি, আমি আর হাবিবুল বাশার সুমন। বিসিবি আমাদের এ দায়িত্ব দেয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা যে প্রসেসে কাজ করছিলাম সেভাবেই কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও উপরের দিকে তুলে নিতে চেষ্টা করবো।’ দল নির্বাচনের দায়িত্ব আগের প্রক্রিয়ায় করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন নান্নুÑ‘অবশ্যই আমরা আগে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছিলাম সে প্রসেসেই করে যাবো।’
এদিকে, ৩ সদস্যের নির্বাচক কমিটি থেকে গত ১৯ জুন বিসিবির সভায় হাবিবুল বাশার সুমনকে সরিয়ে তাকে বাংলাদেশ নারী দলের নির্বাচকের দায়িত্ব দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ায় বিসিবি পুনরায় সুমনকে ফিরিয়ে এনেছে তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটিতে। ফারুকহীন এই কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, অন্য দু’জন হাবিবুল বাশার সুমন এবং সাজ্জাদ হোসেন শিপন। নারী দলের নির্বাচক হিসেবে পছন্দের কাউকে খুঁজছে বোর্ড। এ পদে আতাহার আলীকেই পছন্দ বিসিবি সভাপতির। খালেদ মেহমুদ সুজনকে দল নির্বাচনে ক্ষমতা দিতে যখন দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে, তখন তাকে স্থায়ী ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করাটাই বরং ভালো। তবে ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে টানা দায়িত্ব পালন করা খালেদ মেহমুদ সুজনকে এই পদে স্থায়িভাবে নিযুক্তির পক্ষে নন বিসিবি সভাপতি। ভবিষ্যতে টিম ম্যানেজার হিসেবে তার পছন্দ মাশরাফি বিন মর্তুজা। গতকাল সংবাদ সম্মেলন শেষে এ পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি-‘আমি মনে করি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার হওয়ার যোগ্যতা রাখে মাশরাফি। ভবিষ্যতে তাকেই ম্যানেজার হিসেবে দেখতে চাই।’‘এমন একটা খবর এসেছে আমাদের কাছে। আমরা জানি না বিষয়টা। আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাও ম্যাচে থাকার কথা। আমরা অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো। ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ারদের রিপোর্ট নিবো। তেমন কিছু পেলে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে বিসিবি’র এক পরিচালক দিয়েছেন আভাস-‘ওরা (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ) যা করছে, তাতে বহিষ্কৃত হতে পারে তারা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।