Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বদলে যাওয়া আরামবাগের সামনে বিজেএমসি

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার
ঘরোয়া ফুটবলের জনপ্রিয় আসর ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ বদলে যাওয়া আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সামনে টিম বিজেএমসি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বেলা পৌনে ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি। বিটিভি ওয়ার্ল্ড খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে ওঠে আসার পর যেন রূপ বদলেছে আরামবাগের। এক সময়ের জায়ান্ট কিলাররা আবারো ফিরেছে স্ব-রূপে। এবারের ফেডারেশন কাপে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামালের মতো দলকে হারিয়েছে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের কাছে সাডেন ডেথে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে টানা দু’বারের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জায়ান্ট কিলার খ্যাতরা নিজেরাই জায়ান্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। খেলছে মৌসুমের দ্বিতীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার ম্যাচ।
দেশের ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আগেও খেলেছে আরামবাগ। তবে এ আসরে তাদেরকে কখনো ক্ষুধার্ত মনে হয়নি। লিগে দু’য়েকটি অঘটন ঘটানো ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি দলটি। অতীতে দেখা গেছে, কোনমতে অবনমন এড়িয়ে লিগে টিকে আছে তারা। এক মৌসুম আগে প্রিমিয়ার লিগ থেকে রেলিগেশনে গিয়ে গেল বছর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলেছে মতিঝিলের দলটি। সেখানে রানার্সআপ হয়ে এবার ফের প্রিমিয়ার লিগে খেলার টিকেট পেয়েছে তারা। সেই সুবাদে স্বাধীনতা কাপের পর ফেডারেশন কাপেও খেলছে আরামবাগ। দলে নতুন তারকা কোচ পেয়ে যেন বদলে গেছে ক্লাবটি। জাতীয় দলের সহকারী কোচ সাইফুল বারী টিটু আরামবাগের দায়িত্ব নেয়ায় এখন যেন অন্য চেহারায় তারা। স্বাধীনতা কাপে ব্যর্থ হলেও তৃতীয়বারের মতো ফেডারেশন কাপের ফাইনালে খেলার অপেক্ষায় আছে আরামবাগ। এর আগে ১৯৯৭ ও ২০০১ সালে দু’বার ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল বাধা টপকে ফাইনালে খেলেছিলো মতিঝিল ক্লাবপাড়ার দলটি। তবে দু’বারই রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। এবারের ফেডারেশন কাপে শুরু থেকেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে আরামবাগ।
‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা চারবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে ১-০ গোলে হারালেও ফেনী সকারের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে ওঠে। শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে শেখ জামালকে হারিয়ে চমক দেখালেও থেমে থাকতে চান না কোচ টিটু। তিনি চান তার দল সেমিফাইনাল বাঁধা টপকে ফাইনালে আসুক। টিটু বলেন, ‘বিজেএমসির খেলোয়াড়রা একসঙ্গে অনেকদিন ধরে আছে এবং দলে অনেক পরিপক্ব খেলোয়াড় রয়েছে। সেক্ষেত্রে ম্যাচটি ফিফটি-ফিফটিই ধরা যায়। ছোট বড় দলের কোন ব্যাপার নয়। আমরা এই ম্যাচেও কমপেক্ট ডিফেন্সেই খেলতে চাই। চেষ্টা থাকবে কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের সুযোগ তৈরী করা। তবে শেখ জামালের ম্যাচের মতো টাইব্রেকারে যেতে হলে তা মোকাবেলা করার জন্য ছেলেদের বিশেষভাবে টাইব্রেকার প্রস্তুতিও করানো হয়েছে। দলে কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। ছেলেরা প্রস্তুত নিজেদের সেরাটা খেলতে।’
অন্যদিকে ২০১১-’১২ মৌসুমে ঢাকার ফুটবলে ফের আবির্ভাব ঘটে কর্পোরেট দল বিজেএমসির। এসেই জায়ান্ট কিলার হিসেবে নাম লেখায় তারা। সাম্প্রতিক সময়ে বড় দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই মাঠে নেমেছে বিজেএমসি। কিন্তু গেল দু’মৌসুমে তাদের সেই জায়ান্ট কিলার নামটি যেন হারাতে বসেছিল। তবে ফেডারেশন কাপে ফের জেগে ওঠেছে দলটি। গ্রুপ পর্বে রহমতগঞ্জের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে ওঠে আসে বিজেএমসি। আর মুক্তিযোদ্ধার মতো অন্যতম জায়ান্টকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় করে দেয় তারা। এই দলের কোচ সাইদুল ইসলাম স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়েই গর্বিত। তিনি বলেন, ‘আমার স্থানীয় ফুটবলাররা গর্ব করার মতো খেলছে। তাদের স্পৃহা দেখে আমি খুশি।’ তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাকে হারানোর মতোই চমক দেবো আমরা সেমিফাইনালে। এর আগেও আমরা ফাইনাল খেলেছি, আমাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে। খেলোয়াড়দের উপরও বিশ্বাস আছে, তারা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে। আরামবাগের আত্মবিশ্বাসের মূলে রয়েছে টিমওয়ার্ক ও কঠোর পরিশ্রম। তবে আমার দল নব্বই মিনিট একই তালে খেলতে পারে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বদলে যাওয়া আরামবাগের সামনে বিজেএমসি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ