দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আল-কুরআনে এই জাতীয় আরো বহু আয়াত রয়েছে যা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, ইবাদতের বিপরীত হচ্ছে অহঙ্কার প্রদর্শন করা। সুতরাং অহঙ্কার ও অহমিকার অর্থ হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাকের সার্বিক শ্রেষ্ঠত্বকে অস্বীকার করে নিজেকে বড় মনে করা এবং নিজের সত্তাকে কিছু একটা বলে ধারণা করা এবং আল্লাহর সামনে মস্তক অবনত করাকে লজ্জাস্কর মনে করা।
বস্তুুত : আল্লাহর সন্নিধানে নিজের আজিজী ও বন্দেগী প্রকাশ করা ও তাঁর নির্দেশাবলীর প্রতি আনুগত্যের শির অবনত করার মধ্যেই ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর পাক জবান হতে ঘোষণা করা হয়েছে যে, “বান্দাহর ঐ সকল কাজ যার উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বীয় আজিজী ও বন্দেগী প্রকাশ করা এবং তাঁর নির্দেশাবলীর প্রতি একান্ত আনুগত্য সহকারে নিজেকে সমর্পণ করা, তা সবই ইবাদতের মাঝে পরিগণিত।” এতদর্থে কোনও মানুষ বাহ্যত যত উত্তম কাজই করুক না কেন, এর দ্বারা যদি স্বীয় বন্দেগী ও আজিজীও প্রকাশ না পায় এবং আল্লাহর নির্দেশাবলীর প্রতি আনুগত্যের ছোঁয়া না থাকে তা কখনো ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হতে পারে না।
এতে স্পষ্টত:ই প্রতীয়মান হয় যে, সব ভালো কাজ ইবাদতের মাঝে শামিল করতে হলে নিয়ত ও উদ্দেশ্য পাক ও খালেস হওয়া একান্ত দরকার। আর এই খালেস নিয়তের দ্বারাই কোনটা ইবাদত এবং কোনটা ইবাদত নয়, তা নির্ণীত হয়ে যায়। আল-কুরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করে বলা হয়েছেÑ ‘দোজখ থেকে মুক্তাকীনদেরকে বাঁচানো হবে, যারা নিজেদের মাল-সম্পদ অন্তরের পবিত্রতার নির্মিত্ত খরচ করে এবং তার উপর কাহারো ইহসান অবশিষ্ট নেই, যার প্রতিদান তাকে দিতে হবে; বরং আল্লাহর পবিত্র সত্তার সান্নিধ্য লাভই তার একমাত্র উদ্দেশ্য, সে অবশ্যই পরিতুষ্ট হবে।” (সূরা আল লাইল)
অপর এক আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছেÑ“তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে, তা কেবল আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের জন্যই করবে।” (সূরা বাক্কারাহ) অন্যত্র বলা হয়েছেÑ “আমি শুধু আল্লাহর করুণা ও অনুকম্পা লাভের জন্যই তোমাদের আহার করাচ্ছি।” (সুরা ইনসান) “অভিশম্পাত ঐ সকল নামাজীর জন্য যারা নামাজে গাফেল থাকে এবং অন্যকে দেখানোর জন্য কাজ করে। (সূরা মাউন)
আল-কুরআনে উপরোক্ত আয়াতগুলোর সুস্পষ্ট ও সুবিস্তৃত তাৎপর্য রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর পাক জবানে অতি সংক্ষিপ্ত আকারে এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে, “সকল কাজের পুণ্য এর নিয়তের উপর নির্ভরশীল।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
নিয়তের এই তাৎপর্য রাসূলুল্লাহ (সা:) ঐ সকল লোকদের সামনে পরিস্ফুট করেছিলেন যারা নিজেদের ঘর-বাড়ী ছেড়ে হিজরত করে মদীনায় আগমন করেছিলেন। তিনি ঘোষণা করলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তি ঐটুকুই পাবে যতটুকু সে নিয়ত করেছে। যদি হিজরতের উদ্দেশ্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সান্নিধ্য হয়, তাহলে আল্লাহপাক তার বিনিময় প্রদান করবেন। আর হিজরত যদি দুনিয়াবী উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত হয়, কিংবা কোনও স্ত্রীলোককে পাওয়ার লক্ষ্য হয় তবে তার হিজরত ঐ বস্তুুর প্রতিই নিবিষ্ট হবে, যার উদ্দেশ্যে সে হিজরত করেছে।” (সহীহ বুখারী)
এই বিশ্লেষণ হতে এটাই প্রতীয়মান হয়ে যে, রাসূলুল্লাহ ইবাদতের যে অন্তর্নিহিত মর্ম দুনিয়ার সামনে পেশ করেছেন এর মাঝে প্রথম জিনিস হচ্ছে অন্তরের উদ্দেশ্য ও ইখলাস। এক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট কাজ ও তরীকার কথা নির্ধারিত করা হয়নি। বরং মানুষের প্রত্যেক কাজ যার উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ আল্লাহর খোশনুদী ও রেজামন্দি লাভ করা এবং তাঁর নির্দেশাবলী অনুসরণ করা, তা’ সবই ইবাদত, যদি তুমি নিজের সুনামের জন্য লাখো টাকা কাউকে দান কর, তা ইবাদত বলে গণ্য হবে না। পক্ষান্তরে আল্লাহর রেজামন্দি লাভের আশায় এবং তাঁর নির্দেশ পালনের নিয়তে কয়েকটি কড়ি দান করলেও তা বৃহৎ ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে।
রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর শিক্ষার আলোকে সত্যিকারের ইবাদত পরিসাধিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্তরের পবিত্রতা, রূহের নির্মলতা এবং কর্ম সম্পাদনের জন্য ইখলাস ও পূর্ণ আন্তরিকতা এবং নির্মল নিয়ত ও উদ্দেশ্য থাকা আবশ্যক। এই শ্রেণীর ইবাদতের সাথেই ইসলামের ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় বন্ধন রয়েছে।
ইবাদতের উদ্দেশ্য ও পরিণতির কথা তুলে ধরে আল-কুরআনে ইরাশাদ হচ্ছেÑ “হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের ঐ প্রতিপালকের ইবাদত কর, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে সক্ষম হও।” (সূরা বাক্কারাহ) এই আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, ইবাদতের উদ্দেশ্য ও পরিণতি হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা।
তাকওয়া হচ্ছেÑ মানুষের অন্তরে ঐ গুণাবলীর বিকাশ, যা তাদের হৃদয়ে পুণ্য কর্মের অনুপ্রেরণা এবং খারাপ কাজের প্রতি ঘৃণার ভাব ফুটিয়ে তোলে। একবার রাসূলুল্লাহ (সা:) স্বীয় বক্ষস্থলের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলেছিলেন। “তাকওয়ার স্থান হচ্ছে এই বক্ষস্থল।” (সহীহ মুসলিম) আর আল-কুরআনেও “তাকওয়াল কুলুব’ বা অন্তরসমূহের তাকওয়া বলে এই দিকনির্দেশনাই তুলে ধরা হয়েছে। (সূরা হজ্জ) এই পরিবেশ সৃষ্টি করাই ইসলামী ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য নামাজ, রোজা ও অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগী আদায় করার মূলে এই উদ্দেশ্যই নিহিত রয়েছে। এই নিরীখে মানুষের ঐ সকল বৈধ কাজকর্ম ও চিন্তা-ভাবনা যা শরীয়তের হুকুম মোতাবেক এই উদ্দেশ্য সাধনের পথ সহজ ও সুগম করে তোলে, তা সবই ইবাদত বলে গণ্য হবে।
উপরোক্ত পথনির্দেশকে আমরা এভাবেও ব্যক্ত করতে পারিÑসাধারণভাবে মনে করা হয় যে, ইবাদত বলতে নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক কাজকর্মকেই বুঝানো হয়ে থাকে যা মানুষ আল্লাহর রেজামন্দি লাভের আশায় পালন করে। যেমনÑনামাজ, রোজা, কুরবানী প্রভৃতি। কিন্তুু রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর মহান শিক্ষা এই সংকীর্ণতার সীমারেখাকে বিলনি করে এর ক্ষেত্র ও পরিধিকে বিস্তৃত ও বিশালরূপে ফুটিয়ে তুলেছে। এই শিক্ষার আলোকে বলা যায় যে, প্রতিটি পুণ্যকর্ম যা খালেসভাবে আল্লাহর জন্য করা হয় এবং আল্লাহর সৃষ্টজগতের কল্যাণের জন্য পরিসাধিত হয়, যার মূলে আল্লাহর খোশনুদী অর্জনই কাম্য, তা সবই ইবাদতের মাঝে শামিল রয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহর জন্য কাজ করার মর্ম হচ্ছে এই যে, সে কাজ আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও পবিত্রতা বর্ণনা জন্যই হোক, কিংবা কোনও মানুষ বা প্রাণীর মঙ্গলার্থেই হোক, কিন্তু এই কাজ সম্পাদনকারী মাঝে যেন লোক দেখানো মনোবৃত্তি, অহমিকা, অহংকার, অপরের উপর দয়া প্রদর্শন, সুনাম অর্জন ও দুনিয়াবী উদ্দেশ্য পরিপূরণের কোনরকম চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকে এবং বস্তুুময় পরিম-লের আবেষ্টনীর বেড়াজালে তা সমাচ্ছন্ন না হয়। বরং যাবতীয় কর্মকা-ের মূলে থাকবে আল্লাহর মহব্বত লাভের প্রত্যাশা, তাঁর রেজামন্দি অর্জনের উদগ্র অনুরাগ এবং খোশনুদী লাভের নির্ভেজাল আকর্ষণ। এতেকরেই খালেস ইবাদতের স্বরূপ কাজের ভিতর দিয়ে বিকশিত হবে এবং লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার পথ সুগম করে তুলবে।
অনুসিন্ধৎসু দৃষ্টিতে তাকালে যে জিনিসটি প্রথম চোটেই নজরে পড়ে, তাহলো ইসলাম ছাড়া অন্যান্য ধর্মগুলোর সীমানা নির্ধারণ পদ্ধতি। অন্যান্য ধর্মে দ্বীন ও দুনিয়া দুটি পৃথক বস্তুু, পৃথক পরিম-ল ও পৃথক অধিষ্ঠান। এর একটির সাথে অপরটির কোন মিল নেই, সংযোগ নেই, সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তুু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর পবিত্র শিক্ষা সেই ভ্রান্ত ধারণার চির অবসান ঘটিয়েছে এবং প্রকৃত সত্যের দিগন্ত উন্মোচিত করেছে।
ইসলামে দ্বীন এবং দুনিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনরকম বৈরিতার অবকাশ নেই। বরং এ দু’য়ের মাঝে বন্ধুত্বসুলভ নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। দুনিয়ার যে সকল কাজকে অন্যান্য ধর্মে দুনিয়াবী কাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে, এই কাজগুলোই যদি আত্মতুষ্টি, ব্যক্তিগত ইচ্ছার পরিপূরণ ও লোক দেখানো মনোবৃত্তির বহি:প্রকাশরূপে স্থিরিকৃত করা না হয়, বরং এগুলোর দ্বারা আল্লাহর রেজামন্দি ও তাঁর নির্দেশের বাস্তবায়ন এবং তাঁর ফর্মাবরদারীর উপায় হিসেবে মেনে নেয়া হয়, তাহলে এসকল কাজ-কর্ম, চিন্তা-ভাবনা সবই দ্বীনের কাজ বলে চিহ্নিত হবে, ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে। এসকল কর্মকা-ের সাথে দুনিয়াদারীর কোন সম্পর্কই অবশিষ্ট থাকবে না। এজন্য দ্বীন ও দুনিয়ার কর্মপ্রবাহের মাঝে কোনই বিভেদ নেই, ফরক নেই। বরং তারতম্য হচ্ছে উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও নিয়তের পার্থক্যের ক্ষেত্রে। রাসূলুল্লাহ (সা:) একজন সাহাবীকে লক্ষ্য করে বললেন, (যিনি রাতদিন ইবাদতে মশগুল থাকতেন) তোমার উপর তোমার দেহের হক আছে, (একে কিছুটা শান্তি দেবে) তোমার চোখেরও হক আছে, (কিছুক্ষণ তাকে বিশ্রাম দেবে) তোমার স্ত্রীরও হক আছে (তার সান্তুনার ব্যবস্থা করবে,) তোমার মেহমানেরও হক আছে, (তার খেদমতের জন্য সামান্য সময় ব্যয় করবে) (সহীহ বুখারী: কিতাবুল আদব, মেহমানের হক অধ্যায়) মোটকথা, এসকল হক ও হুকুক আদায় করাও আল্লাহর নির্দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ও ইবাদত বলে গণ্য। সুতরাং পাক-পবিত্র রুজি ভক্ষণ করা এবং তার শোকর আদায় করাও ইবাদত। এ প্রসঙ্গে আল-কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে পবিত্র রিজিক দান করেছি, তা ভক্ষণ কর এবং আল্লাহর শোকর আদায় কর, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদতে ব্রতী হয়ে থাক।” (সূরা বাক্কারাহ) এই আয়াতের দ্বারা বুঝা যায় যে, পাক-পবিত্র রুজি তালাশ করা, ভক্ষণ করা এবং এর জন্য আল্লাহর শোকর আদায় করা ইবাদত। অপর এক আয়াতে ‘তাওয়াক্কুল অর্থাৎ কাজের জন্য পরিশ্রম করে এর ফলাফলের ভার আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়াকে ইবাদত সাব্যস্ত করা হয়েছে। আল-কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাঁরই উপর ভরসা কর।” (সূরা হুদ) অনুরূপভাবে বিপদকালে ধৈর্য ধারণ ও অবিচল থাকা ইবাদত। আল-কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “আল্লাহর ইবাদত কর এবং ধৈর্য অলম্বন কর।” (সূরা মারইয়াম)
কোনও ভগ্ন দিলের অধিকারীর সাথে শান্তি ও সান্তনার কথা বলা এবং কোনও অপরাধীকে ক্ষমা করাও ইবাদত। ইরশাদ হচ্ছেÑ “ভালো কথা বলা এবং ক্ষমা করা ঐ দান-খয়রাত হতে উত্তম, যেগুলোতে অন্যকে কষ্ট দেয়ার আমেজ নিহিত আছে।” (সূরা বাক্কারাহ) এই আয়াতের ব্যাখ্যা রাসূলুল্লাহ (সা:) এভাবে করেছেনÑ “প্রতিটি পুণ্যকর্মই সদকা, তোমার ভাইকে দেখে সহাস্য আননে তাকানো সদকা, রাস্তায় পড়ে থাকা কষ্টদায়ক বস্তুুটি অপসারণ করাও সদকা।” (সহীহ বুখারী : কিতাবুল আদব)
গরীব, নি:স্ব, অসহায় ও বিধবাদের সাহায্য করা ইবাদত। বরং অনেক ইবাদতের চেয়ে উত্তম ইবাদত। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেনÑ“বিধবা, নি:স্ব ও গরীবদের জন্য সচেষ্ট ব্যক্তিদের মর্তবা আল্লাহর পতে জেহাদকারীদের মর্তবার সমতুল্য। এবং ঐ ব্যক্তির সমতুল্য যিনি দিনভর রোজা রাখে এবং রাতভর সালাত আদায় করে।” (সহীহ বুখারী : কিতাবুল আদব)
পরস্পর দ্বন্দ্ব ও বিরোধের কারণগুলো দূর করা এবং পরস্পর ভালবাসার বিস্তার করা এমন ইবাদত যার মর্যাদা নামাজ, রোজা এবং যাকাতের চেয়েও বেশী। একদিন রাসূলুল্লাহ (সা:) সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে রোজা, নামাজ ও যাকাত হতেও অধিক মর্তবার বস্তুুটির কথা বলে দেব?” সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা:)! বলে দিন। প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন, “পরস্পরের মাঝে সুসম্পর্কের প্রতিষ্ঠা করা।” (সুনানে আবু দাউদ : ২য় খ: কিতাবুল আদব, পরস্পর সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা অধ্যায় পৃ: ১৯২) (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।