বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেছে বেছে নিকৃষ্ট ছাত্র ও উৎকৃষ্ট দলীয় কর্মীদের ভিসি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আর সে কারণেই আস্তে আস্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিরোধ গড়ে উঠতে শুরু করেছে। তিনি বলেন,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, যার জন্য ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিকে অপসারণ করা হলো , অথচ একই অভিযোগে অভিযুক্ত ভিসি বহাল তবিয়তে বসে আছে, কারণ লোকে বলে তার সাথে রাজকীয় মানুষদের সম্পর্ক রয়েছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন গণতান্ত্রিক শক্তির সাথে তার লড়াইটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এটা বিজ্ঞান । তবে আস্তে আস্তে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে এবং গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে বলে আমার বিশ্বাস বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন,সড়ক পরিবহন নিয়ে সরকার সম্প্রতি যে আইনটি করেছে তা বাস্তবসম্মত নয় , সে কারণেই পরিবহন সেক্টরে ধর্মঘটসহ নানা নৈরাজ্য চলছে। পরিবহন সেক্টরে কঠোর আইন ও তার প্রয়োগ থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন , এই সেক্টরে বরাবরই একটি কোটারি সরকারগুলোকে জিম্মি করে থাকে। এ ব্যাপারে সকল সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত আইন প্রণয়ন করার দাবী জানান মির্জা ফখরুল। তিনি দাবী করেন , সরকার জাতীয় ইস্যুগুলোতে কারো সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ না করে বরং নিজেদেরকে সর্বেসর্বা রাজা বলে জ্ঞান করেন।
বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ের তাতিপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদল সভাপতি মহিবুল্ল্যা চৌধুরি আবু নুর সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যক্রমে ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর এটা করতে গিয়ে যতো নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত কাজগুলো আমরা করে থাকি। ছাত্রদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব একটা বাহিনী হিসেবে। অথচ অতীতে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন,৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ , ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিল মূল নেতৃত্বের ভূমিকা। তাই আজ ছাত্রদেরও এই বিষয়টি মাথায় রেখে এগিয়ে আসার আহবান জানান মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার খালেদা কে প্রাপ্য মুক্তি থেকে বঞ্চিত করে নিজেদেরই ক্ষতি করছে। এই ব্যার্থ রাষ্ট্রে যখন জাতীয় সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে তখন গণতন্ত্রমণা জনসাধারণের প্রতিনিধি হিসেবে খালেদা জিয়া এটা কাটিয়ে উঠতে ভূমিকা রাখতে পারতেন। তিনি সরকারকারের উচিত দল ও গোষ্ঠীগত স্বার্থ থেকে উঠে এসে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা, নাহলে বাংলাদেশ পুরো একটা ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।