Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এখন বাংলাদেশেই ফলছে কোরআনে বর্ণিত সেই পবিত্র তীন গাছ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৪৯ পিএম

২০১১ সালে মিসর থেকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমায় একটি তীন ফলের গাছ এনেছিলেন আবু মুহাম্মদ আসসাওয়াদফি আল ফিকাহ নামের এক ব্যক্তি। শখের বসে আনা সেই গাছটি জলমার দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স পরিচালিত সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের আঙ্গিনায় রোপণ করা হয়। দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্সের পরিচালক সুফি সালাইমান মাসুদ গাছটি রোপণ করেন।
ধারণা করা হয়েছিল মরুভূমির এই গাছ বাংলাদেশের মাটিতে টিকবে না। কিন্তু সবার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে গত ৮ বছরে বেশ হয়েছে গাছটি। ফলও ধরেছে বেশ। স্থানীয়দের দাবি, এ গাছ বাংলাদেশে এই একটিই আছে।
গত কয়েক বছর ধরেই গাছটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক ছুটে আসছেন। এর কারণ এই সেই তীন গাছ যার নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরাই নাযিল হয়েছে। এই তীনের নামে মহান আল্লাহ তায়ালা শপথও করেছেন।
তাই মুসলমানদের কাছে এই তীন গাছ ও এর ফল একটু ভিন্ন অর্থ বহন করে। সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, তীন গাছকে দেখতে অনেকেই আসছেন। বিশেষ করে যখন ফল ধরে তখন স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাসহ দশনার্থী বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, কোরআনের ৩০তম পারার ৯৫ নম্বর সূরার প্রথম আয়াত ‘ওয়াত্তীনি ওয়াযাইতূনি। বর্ণিত সূরায় আল্লাহ তায়ালা তীন গাছের নামে শপথ করেছেন।
সূরার প্রথম শব্দ তীন অনুসারে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে- সূরা আত-তীন। তীনের বাংলা অর্থ আঞ্জীর বা ডুমুর। মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় এ ফলের উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে করা হয়। সউদী, কুয়েত, মিসরসহ আফগানিস্তান থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে।
দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানোয়ার হুসাইন বলেন, খুলনার আবহাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এই গাছটি অন্যান্য গাছের মতোই বেড়ে উঠেছে। গাছটিতেও ফলও ধরেছে। গাছটির ফল আমি খেয়েছি। এটি অনেক সুস্বাদু। ফলের আকার ডুমুরের চেয়ে বড়, খেতে মিষ্টি ও রসালো বলে জানান তিনি।



 

Show all comments
  • ahammad ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ২:২৯ এএম says : 0
    আরে ভাই ডুমুরতো গ্রামেগন্জে প্রত্যেক বাড়িতেই ১/২ গাছ আছে। আমার মনে হয় গ্রামের এমন বাড়ী কমই আছে যেই বাড়িতে এই গাছটি নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Miah Muhammad Adel ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ৭:২৫ এএম says : 0
    Every family in Bangladesh should have this fig plant. In Bangladesh climate, this fig will grow year long. Fig has a lot of benefits. It has high iron. It has a lot of fibre. Most importantly, it is a natural blood thinner. If someone eats a fe figs every day, he/she does not have to take aspirin. I myself have fig plants in my backyard. By grafting, I have given away many fig plants to the Muslim families here in Arkansas and Texas in the USA. Grafting in fig plants is very easy. If some branch can touch the ground, it will strike roots there. Its grafting is like lichi plants. I have unsuccessfully tried to take this plant back home. If all Bangladeshis make a habit of eating a fe figs everyday, iron deficiency and stroke can be avoided to a great extent among other associated benefits. .
    Total Reply(0) Reply
  • Fakir Mabud Ali ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:২৭ এএম says : 0
    Please Be Aware Goverment (Gujob)
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ সাজেদুল ইসলাম ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৪৬ এএম says : 0
    আলহামদুল্লিলাহ, যে সকল ভাই গাছটির পরিচর্যা করতেছেন তাদেরকে আনুরোধ করছি গাছটি থেকে বীজ উৎপাদন করে সারা দেশে ছড়িয়ে দিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পবিত্র তীন গাছ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ