পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ব্রিটিশ রাজনৈতিক নেতারা দখলকৃত কাশ্মীরে বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং ভারতের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের মুক্তি আন্দোলনকে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন। শনিবার করাচিতে সেন্টার ফল পিস, সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ (সিপিএসডি) আয়োজিত ‘হিউম্যান রাইটস ইন ইন্ডিয়ান অকুপাইড কাশ্মীর’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তারা অধিকৃত অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। জর্জ গ্যালোওয়ে, লর্ড ডানকান ম্যাকনায়ের, ডেভিড ওয়ার্ড, মার্কাস সি থমলিনসেনসহ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ও স্কলাররা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। আলভি সেমিনারে বলেন যে, ৫ আগস্ট ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছেÑ অতিরিক্ত সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও অবরোধ আরোপ – সেটার কারণে আধুনিক কালের সবচেয়ে বড় ধরনের মানবিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “দমন অভিযানের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানবিক সঙ্কট আরও বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে, যেটা আগে ঘটেনি”। তিনি আরও বলেন যে, অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যার চিত্র বদলে দেয়ার জন্যই সা¤প্রতিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ শুধু কাশ্মীরীদের বিপক্ষেই যায়নি, বরং দেশের অন্যান্য সংখ্যালঘুদেরও বিপক্ষে গিয়েছে। বিশিষ্ট ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ জর্জ গ্যালোওয়ে বলেছেন যে, কাশ্মীর ভারতীয় বাহিনীর অবৈধ দখলদারিত্বের কবলে রয়েছে এবং কাশ্মীরের মুক্তি আন্দোলন ও ভারতীয় দখলদারিত্ব থেকে তাদের স্বাধীনতার যে আকাক্সক্ষা, সেটার কারণে সৃষ্ট ভয় থেকেই ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরের মুসলিমদের বিরুদ্ধে দমন পীড়ন চালাচ্ছে। তিনি বলেন যে, কাশ্মীরের জনগণের এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে শুধু শান্তিপ‚র্ণ প্রতিবাদের অধিকারই নেই, বরং প্রয়োজন মনে করলে অস্ত্র ব্যবহারেরও অধিকার রয়েছে তাদের। তিনি আরও বলেন যে, কাশ্মীর কখনও দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ছিল না বরং বহুপাক্ষিক ইস্যু ছিল কারণ পাকিস্তান ও ভারতের পাশাপাশি এখানে কাশ্মীরের জনগণ জড়িত।তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, কাশ্মীর সঙ্ঘাতের অবসানের জন্য বিশ্বের একটা দায়িত্ব রয়েছে কারণ এখানে দুটো পারমানবিক শক্তি জড়িত। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কোন সঙ্ঘাত লাগলে সেটা বিশ্ব শান্তির জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনতে পারে। কাউন্সিল ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড রিলিজিয়াস ফ্রিডমের নির্বাহী কমিটির সদস্য লর্ড ডানকান, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড ওয়ার্ড, ব্যারিস্টার রশিদ আহমেদ, মার্কাস সি থমলিনসেন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি কর্মী রাজা শারাজ আখতারও কাশ্মীরে ভারতীয় বর্বরতার নিন্দা করেন। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।