Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোহামেডানকে হারিয়ে লড়াইয়ে আবাহনী

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া হকির মর্যাদাপূর্ণ আসর গ্রীণডেল্টা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্বে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে রইল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল বিকালে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে মর্যাদার ম্যাচে আবাহনী ৪-২ গোলে হারায় মোহামেডানকে। আর এ জয়ই আকাশী-হলুদদের টিকিয়ে রাখলো লিগ শিরোপার লড়াইয়ে। প্রথম পর্বের ১১ ও সুপার সিক্সের এক ম্যাচসহ মোট ১২ ম্যাচ শেষে আবাহনী ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সমান ম্যাচে ৩৪ ও ৩১ পয়েন্ট পেয়ে ঊষা ক্রীড়া চক্র ও ঢাকার মেরিনার ইয়াংস ক্লাব যথাক্রমে শীর্ষে ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর ১২ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ স্থানে নেমে এলো মোহামেডান।
ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলে। তবে অপেক্ষাকৃত বেশী গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে আবাহনীই। মর্যাদার লড়াইয়ে সফলতাও পায় তারা। তাদের প্রতিটি আক্রমণে  মোহামেডান রক্ষণদুর্গে ভীতি ছড়ায়। তবে ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পায় মোহামেডানই। ৫ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার (পিসি) আদায় করে নেয় তারা। পিসিতে সালমান হোসেনের হিট গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দলকে বাঁচান আবাহনীর পাকিস্তানি ডিফেন্ডার কাশিফ আলি। ১০ মিনিটে সুযোগ পায় আবাহনীও। এসময় পাল্টা আক্রমণ থেকে শাকিল আব্বাসির ফরোয়ার্ড পুশ আয়ত্তে নিয়ে ক্রস করেছিলেন শাফকাত রাসুল। যেখানে মাকসুদ আলম হাবুল ছিলেন তার লক্ষ্য। কিন্তু মোহামেডান  গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন এগিয়ে এসে বল বিপদমুক্ত করেন। ১৪ মিনিটে আরো একটি গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে মোহামেডান। রাসেল মাহমুদ জিমি তার স্টিকওয়ার্কে দুইজন মার্কারকে কাটিয়ে আড়াআড়ি পাসে দেন ওমর ভুট্টোকে। ওমর স্টিক ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতেন। কিন্তু তিনি বল স্টিকে লাগাতে পারেননি। উল্টো ম্যাচের ২০ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। এসময় তারা প্রথম পিসি পেয়েই তা কাজে লাগায়। শাফকাত রাসুলের পুশ, বিপ্লবের স্টপের পর কাশিফ আলি হালকা স্কুপে মাঝ জালে বল জড়ান (১-০)। গোল পেয়ে যেন জ্বলে ওঠে আবাহনী। আক্রমণের ধারায় থাকে তারা। ম্যাচের ২৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ায় বর্তমান্ চ্যাম্পিয়নরা। শাকিল আব্বাসির হিট ডিফ্লেক্ট করে প্রান্ত বদল করে দেন রোম্মান সরকার। বলের গতিপথ আগে থেকেই আঁচ করতে পারা রাজিব দাস সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ঠেলে দেন  পোস্টে (২-০)। ম্যাচে আবাহনী কোচ মাহবুব হারুন পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড শাকিল আব্বাসিকে ফরোয়ার্ড পজিশনে না খেলিয়ে অনেকটা প্লে-মেকার হিসেবে খেলান। রক্ষণ ও আক্রমণভাগের মাঝে একটা যোগসূত্র স্থাপন করেন তিনি। অধিনায়ক ফরহাদ আহমেদ শিটুল দেখিয়েছেন ‘কুল  টেম্পারমেন্ট’। আর মোহামেডানের সেরা পারফরমার ছিলেন অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। কিন্তু তাদের পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে না পারায় দু’গোলে পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে মোহামেডান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গে চাপ সৃষ্টি করে সাদা-কালোরা। ফলোশ্রুতিতে গোলও পায় তারা। ম্যাচের ৪২ মিনিটে জিমির গোলে খেলায় ফিরে আসে দলটি। এসম সালমান হোসেনের থ্রু পাসে জিমি বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আলতো পুশে গোলরক্ষক ওয়ালিদকে পরাস্ত করেন (১-২)। কিন্ত পাঁচ মিনিট পরেই আবার গোল হজম করে মোহামেডান। ৪৭ মিনিটে রোম্মান সরকারের দ্রুত গতির একটি আক্রমণে বল পান শাফকাত রাসুল। কোনাকুনি হিটে তিনি বল আছড়ে ফেলেন  বোর্ডে (৩-১)। আবারও চালকের আসনে বসে আবাহনী। তবে ৬২ মিনিটে আবাহনীর রক্ষণভাগের ভুলে দ্বিতীয় গোল পায় মোহামেডান। এসময় আবাহনী ডিফেন্ডার বিপ্লব মোহামেডানের মিডফিল্ডার মশিউর রহমান ফিরোজকে বক্সের মধ্যে অবৈধভাবে রুখে দেন। আম্পায়ার পেনাল্টি স্ট্রোকের বাঁশি বাজালে তা থেকে গোল করেন মোহামেডানের পাকিস্তানি খেলোয়াড় মো. ইমরান (২-৩)। তিন মিনিট পরআবারও আঘাত হানে আবাহনী। ৬৫ মিনিটে রাজিব দাস ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোল করলে সব আশা শেষ হয়ে যায় মোহামেডানের (৪-২)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোহামেডানকে হারিয়ে লড়াইয়ে আবাহনী
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ