মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে বিনাশর্তে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শনিবার হাইকোর্টের রায়ে শরিফের চিকিৎসা নিয়ে জটিলতা কাটল। লাহোর হাইকোর্ট এদিন রায়ে জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য নওয়াজ শরিফ চার সপ্তাহ বিদেশে গিয়ে থাকতে পারবেন। এ জন্য তাকে কোনও হলফ-নামা বা ক্ষতিপূরণপত্রে সই করতে হবে না। তবে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার ভাই শেহবাজ শরিফকে সফরের বিস্তারিত তথ্য লিখিত আকারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শরিফের আর্জিতে শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময়েই ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয় লাহোর হাইকোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রায়দান স্থগিত রাখলেও, আদালত জানায়, নওয়াজ শরিফের এই আবেদন মানা যায়। শনিবার রায়ে তারই প্রতিফলন ঘটল। বিনাশর্তেই চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি পেলেন। বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, নওয়াজ ও শেহবাজকে এই সফরের বিস্তরিত লিখিত ভাবে দিতে হবে। তা আদালতের কাছেই থাকবে। পরে, তা অগ্রাহ্য করলে, আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে দু’জনকে। এদিনের রায় প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, রায় নিয়ে কিছু বলার নেই। রাজনীতির থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের প্রধান, নওয়াজ শরিফের স্বাস্থ্য।
বৃহস্পতিবার শরিফ হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করেছিলেন। পিটিশনে আর্জি ছিল, নো-ফ্লাই তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করে, চিকিৎসার জন্য তাকে যেন বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গুরুতর অসুস্থ নওয়াজ শরিফের এই আর্জি গ্রহণ করে, শুক্রবারই হাইকোর্ট পাক সরকার ও ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে তলব করে। নো-ফ্লাই লিস্ট বা এগজিট কন্ট্রোল লিস্ট থেকে নওয়াজ শরিফের নাম প্রত্যাহার নিয়ে সরকার পক্ষের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি বাকার নকভির নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ শুক্রবার জানায়, নওয়াজ শরিফের এই আবেদন ‘সমর্থনীয়’। এ নিয়ে শুনানিতে দু-পক্ষের মতামতও শোনেন বিচারপতিরা। তবে, এদিনই চূড়ান্ত রায় জানায়নি হাইকোর্ট। শনিবার পর্যন্ত রায়দান মুলতুবি করা হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর পাকিস্তানি মুদ্রায় ৭০০ কোটির জামিন বন্ডে অসুস্থ নওয়াজ শরিফকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয় ইমরান খান সরকার। সেইসঙ্গে আরও কিছু শর্তারোপও করা হয়। স্বভাবতই সরকারের এই শর্তে রাজি হতে পারেননি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ। নিজের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি বাতিল করেন। তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে মঙ্গলবারই একমত হয়েছিল ইমরান মন্ত্রিসভা। কিন্তু, কী শর্তে তিনি অনুমতি পাবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বুধবারের বৈঠকে। শর্তে বলা হয়, শরিফকে একবারই বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। চার সপ্তাহের জন্য এই অনুমতি। তার মধ্যে তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। সরকারের শর্ত জানার পরেই নওয়াজ শরিফ তা প্রত্যাখ্যান করেন। পিএমএল-এন সুপ্রিমোর কথায়, ‘সরকারের এই দাবি বেআইনি।’ তিনি যে এই শর্তে বিদেশ যাবেন না, তা-ও স্পষ্ট করে দেন।
উল্লেখ্য, রক্তের এক বিরল অসুখে ভুগছেন নওয়াজ শরিফ। তার প্লাটিলেট কাউন্ট অস্বাভাবিক হারে নেমে যাচ্ছে। স্টেরয়েড দিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও, ব্যর্থ হন লাহোরের সার্ভিসেস হাসপাতালের ডাক্তাররা। স্টেরয়ড বন্ধ করলেই, প্লাটিলেট কাউন্ট কমছে। দু-সপ্তাহ ধরে তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করেও সুস্থ করে তুলতে ব্যর্থ হন ডাক্তাররা। শরিফকে তারা বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।