পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনও মন্দির ভাঙা হয়নি। বাবরি মসজিদের জমি মুসলিমদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানয়েছেন তিনি। ভারতের সংবিধান ও বহুত্ববাদী চেতনার বিরুদ্ধে যায় এমন যেকোনও কিছুর বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে জানান তিনি। শুক্রবার ভারতীয় সাময়িকী আউটলুককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন লোকসভার ওই আইনপ্রণেতা। শতাব্দী প্রাচীন বিবাদের আইনি ইতি টেনে ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত ওই ২ দশমিক ৭৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে রাম মন্দির। আর অযোধ্যারই অন্য কোনও গুরুত্বপ‚র্ণ স্থানে মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি খোঁজা শুরু করে উত্তর প্রদেশ সরকার। তবে মুসলিম পক্ষের অন্যতম বাদী ইকবাল আনসারীসহ স্থানীয় নেতারা দাবি তুলেছেন, বরাদ্দ করতে হলে অধিগ্রহণ করা জমি থেকেই তা করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এর সমালোচনা করে ওয়াইসি বলেছিলেন, ‘মুসলমানদের দানের পাঁচ একর জমির প্রয়োজন নেই।’ শুক্রবার আউটলুক ম্যাগাজিনকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের লড়াই শুধু এক খন্ড জমির জন্য ছিল না, আমাদের লক্ষ্য ছিল আইনি অধিকার নিশ্চিত করা। সুপ্রিম কোর্টও বলেছেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনও মন্দির ভাঙা হয়নি। আমি আমার মসজিদ ফেরত চাই।’ হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা আরও বলেন, ‘আমার জন্য সংবিধানই সর্বোচ্চ এবং এটা আমাকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সম্মানজনকভাবে দ্বিমত পোষণের অধিকার দিয়েছে। যা সংবিধানের বিরুদ্ধে যায়, আমি তার বিরোধিতা করবো।’ এর আগে শুক্রবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাবরি মসজিদ ফেরত দেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন তিনি। রায়ের পর ওয়াইসি এ আদালত নিয়ে লেখা একটি বই ‘সুপ্রিম বাট নট ইনফলিবল’-এর ছবি টুইট করেন। একই দিন একটি সংবাদ সম্মেলনে রায়ের সমালোচনা করে আসাদুদ্দিন বলেন, ‘যদি বাবরি মসজিদ আইনত বৈধ হয়, তাহলে কীভাবে আদভানি (এলকে আদভানি) ওই জমি পাবেন? এই রায় তথ্যপ্রমাণের ওপর বিশ্বাসের জয়।’ এদিকে ‘বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভ‚মি মামলা’ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের পুনর্ম‚ল্যায়নের দাবি তুলতে শুরু করেছেন ভারতের মুসলমান সমাজের অনেকেই। রায় ঘোষণার ঠিক পরেই যদিও মুসলমানদের একটা অংশ বলেছিলেন যে সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে নিতেই হবে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে সেই মনোভাব পাল্টেছেন মুসলিম সমাজের ধর্মীয়-সামাজিক নেতা এবং আইনজ্ঞদের অনেকেই। রিভিউ বা পুনর্ম‚ল্যায়নের আবেদন করা হবে কী না তা ঠিক করতে কাল রবিবার বৈঠকে বসছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। ওই বোর্ডের সচিব ও অযোধ্যার জমি মামলায় মুসলিম পক্ষের অন্যতম প্রধান আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি বলেন, প্রথম থেকেই তার মনে হচ্ছিল যে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা উচিত। তিনি বলছিলেন, ‘রায় বেরুনোর পরেই কয়েকটি বিষয়ে ত্রুটি আছে বলে মনে হয়েছিল। সেজন্যই মনে করছি যে রিভিউ হওয়া উচিত। একটা কারণ হল, এক নম্বর বাদী-ভগবান রামলালার ম‚র্তি, যেটি ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে বসানো হয়েছিল, সেটি বেআইনি ছিল বলে জানিয়েছে কোর্ট। যে ম‚র্তিটি বেআইনিভাবে বসানো হয়েছিল বলে শীর্ষ আদালতই জানাল, সেটিকেই জমির অধিকার দেওয়া হল!’ ‘এছাড়া আদালত তো এটাও স্বীকার করেছে যে অন্তত ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৪৯ অবধি সেখানে নামাজ পড়া হতো। আউটলুক ম্যাগাজিন,বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।