পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পদচ্যুত করতে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানজুড়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। তবে সংগঠকরা যতটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যাবে বলে পরিকল্পনা করেছিলেন ততটা করা যায়নি।
রক্ষণশীল জামাতে উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই) প্রধান ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে দক্ষিণাঞ্চলীয় করাচি শহর থেকে আজাদি মার্চ শুরু হয়েছিলো ২৭ অক্টোবর। তার হাজার হাজার সমর্থক ৩১ অক্টোবর রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছে। তারা সেখানে নগরীর প্রধান মহাসড়কে দুই সপ্তাহ অবস্থান করে। গত বুধবার রহমান তার সমর্থকদের নির্দেশ দেন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ অচল করে দিতে। একে তিনি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ‘পরিকল্পনা বি’ হিসেবে আখ্যা দেন। খানের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তার। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা ইসলামাবাদ ও আফগানিস্তানের মধ্যে গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ করে। ফলে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। হাইওয়ে অবরোধকারীদের একজন মুফতি ওয়াইস আজিজ বলেন, আমাদের নেতা অন্যকোন নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকবো। দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশকে পাঞ্জাবের সঙ্গে যুক্তকারী জাকোকাবাদ শহর থেকেও একই ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর এসেছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় কর্তৃপক্ষ যানবাহনকে ভিন্ন পথে ঘুরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা চীনের সঙ্গে সংযোগকারী কারাকোরাম হাইওয়ের মতো অন্যান্য রুট অবরোধ করেছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার সন্ধ্যায় রহমান যেসব রুট অবরোধ করা হবে বলে ঘোষণা দেন, এটা তার একটি।
বিক্ষোভকারীদের মোকাবেলা করার ব্যাপারে সরকার আত্মবিশ্বাসী। গত বছর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে খানের সরকার যে দুর্নীতি বিরোধী ও অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে এটাই বিরোধী দলের প্রথম চ্যালেঞ্জ।
তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে ইসলামাবাদের অবস্থান ধর্মঘট ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, এই বিক্ষোভের কারণে দেশের ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ক্ষতি হয়েছে। এমন এক সময় এই বিক্ষোভের ডাক দেয়া হলো যখন ২০ কোটি লোকসংখ্যার দেশটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে।
অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে খানের সরকার তার অনেক প‚র্বস‚রির মতো গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে বাধ্য হয়।
বিরোধীরা বলছে যে, খানের সরকার অবৈধ এবং সেনাবাহিনীর আজ্ঞাবহ। পাকিস্তানের ইতিহাসের অর্ধেকটা সময় সেনাবাহিনী দেশ শাসন করেছে এবং দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করে। তবে সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলানোর অভিযোগ অস্বীকার করে। আর পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইমরান খান। স‚ত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।