Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেঁয়াজের দাম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:০৪ পিএম

এক লাফে ডাবল সেঞ্চুরি হাকিয়ে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে পেঁয়াজ। গত দুদিনে প্রায় ১০০ টাকা বেড়ে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। দফায় দফায় দাম বাড়ায় পেঁয়াজ নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

পারদ গরম দিলে যেমন এর তাপ বাড়ে যেন সে রকমভাবেই দিনভর একটু একটু করে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গত কয়েকদিন পেঁয়াজের এমন অসহনীয় ঝাঁজে কাঁপছে পুরো দেশ। সেই ঝাঁজ ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘‘যতবার পেঁয়াজ কিনতে যাই, সরকারি আশ্বাসে বিশ্বাস করে অল্প পরিমাণে কিনি। ভাবি, এই বুঝি সামনে পেঁয়াজের দাম কমবে, বেশি করে কিনবো। কিন্তু যতবার কিনতে যাই, ততবার পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যায়, আমি প্রতারিত হই।’’

মিজান এসকে লিখেছেন, ‘‘কয়দিন পর একমণ ধান বিক্রি করে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে হবে। এদেশের কৃষক আগে পেঁয়াজ চাষ করত কিন্তু পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পেত না আমদানির কারণে।’’

আবদুল্লাহ নাঈম লিখেছেন, ‘‘বেশ কিছুদিন আগে এক ভদ্রলোক দারাজ থেকে ঘড়ি অর্ডার করে বক্স খুলে পেঁয়াজ পেয়েছিলেন! ব্যাপারটা এখন ঘটলে হয়তো তিনি এতটাও মন খারাপ করতেন না।’’

‘‘সরকার বড় বড় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত, পেয়াঁজের মতো ছোট খাটো বিষয়ে ভাবনার সময় নেই, সবাইকে উন্নয়নের স্বার্থে পেয়াঁজের এই দাম মেনে নিতে হবে’’ এমন মন্তব্য করেছেন তালেব উল্লাহ স্বপন।

কানাডা প্রবাশী আরিফুল হক লিখেছেন, ‘‘মাত্র দুশ টাকা! আমরা কানাডার মত জায়গায় বসে ২টাকা(বাংলাদেশী) কেজি পেঁয়াজ কিনি।আর বাংলাদেশতো কানাডার চেয়েও কত উন্নত দেশ! ২ টাকার পেঁয়াজ ২০০ টাকা নাহলে উন্নত বাংলাদেশের মান থাকে?’’

আহাদ জাকির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘‘তাদের কিছুই যায় আসে না তাদের তো দিন মজুর, মাসে নির্ধারিত বেতন থেকে আদায় করা নেওয়া ঘুষ, ভ্যাট, ট্যাক্স, কিংবা চাঁদা এর টাকা আছে।৪০ জাগায় ২০০ যদি এর উপর যায় কোন সমস্যা নাই।’’

‘‘পেঁয়াজ ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আজ মনে পড়ে সেই চার দলীয় জোট সরকারের আমলের কথা, চাউলের দাম একটাকা বাড়লে তখন যে প্রতিক্রিয়া শুধু বেসরকারি চ্যানেলগুলো দেখাতো কিন্তু আজ তার ছিটেফোঁটাও নেই। বেসরকারী টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়া কত শান্ত হয়ে গেছে’’ লিখেছেন মোহাম্মাদ ইসমাইল।

আরিফ হাসানের মন্তব্য, ‘‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবে আজ পেঁয়াজের বাজারের এই অবস্থা। সরকার ইচ্ছে করলেই দামের এই ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দেয়ার জন্যই দেশের সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে!’’

ম্রিধা হাবিব লিখেছেন, ‘‘চরম ব্যর্থ সরকার। ফাজলামির একটা সীমা থাকা দরকার। মাসের পর মাস পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে এ যেন মগেরমুল্লুক। এখন পাল্লা দিয়ে তেল, চাউল, আদা, রসুন, ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বাড়ছে। যেন দেখার কেউ নেই।’’

সানাউল্লাহ আজাদ লিখেছেন, ‘‘পেঁয়াজের অহেতুক এই মূল্যবৃদ্ধিই প্রমাণ করে যে দেশ আজ অপশাসনের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। কারণ সামান্য একটা জিনিসের অসামান্য মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের কারো কোনো মাথাব্যথা বা তা থেকে উত্তরণের কোনও উদ্যোগও দেখা যাচ্ছেনা..।’’

‘‘ইন্ডিয়ার সাথে বাণিজ্যিক গুরুত্বের ভূমিকা দেখুন এই পেঁয়াজের মাধ্যমে!!আফসোস ইন্ডিয়াকে আমরা পুরা দেশটা দিতে রাজি,,আর ইন্ডিয়া সামান্য পেঁয়াজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাহাদুরি দেখায়!’’ মন্তব্য মামুন ফারহানের।

হেদায়েত উল্লাহ সুমন লিখেছেন, ‘‘গত দুমাস বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে তবুও নির্লজ্জ মন্ত্রিরা পদত্যাগ করেনা। তাদেরকে..... উচিত!’’

মমতাজ নববী লিখেছেন, ‘‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছে, আর মানুষ সেই ব্যবসাকেই পুঁজি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিয়ে বড় লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আল্লাহ তোমাদের হিসাব নিবেন।’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ