বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাগলা ঘোড়া যেন পেঁয়াজের দাম। লাগমহীন ভাবে ছুটছেই তো আর থামছে না। মুরগী, আপেল, আনারকেও ছাড়িয়েছে পেঁয়াজের দাম। পাঁচ কেজি চালের দামে মিলছে এক কেজি পেঁয়াজ।
বাজারে এখন সব ধরনের মুরগির থেকে পেঁয়াজের দাম বেশি। লাল কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। সোনালী মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ২২০-২৪০ টাকার মধ্যে। আর বাজার ভেদে বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩৫ টাকা। অর্থাৎ এক কেজি পেঁয়াজ দিয়ে দুই কেজি বয়লার মুরগি কেনা সম্ভব।
বয়লার মুরগির মতো এক কেজি পেঁয়াজ দিয়ে দুই কেজি তেলাপিয়া, পাঙাস, মাছও কেনা সম্ভব। কারণ এ মাছগুলোর কেজি ১৫০ টাকার মধ্যে।
এমনকি মাঝারি সাইজের রুই মাছের দামও এখন পেঁয়াজের থেকে কম। শিং মাছও মিলছে পেঁয়াজের থেকে কম দামে। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ বাজার ভেদে ২০০-২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর অনেক বাজারেই শিং মাছের কেজি ২২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পেঁয়াজের থেকে সচরাচর একটু বেশি দামেই বিক্রি হয় আদা-রসুন। এবার এ রীতিও বদলে গেছে। বাজারে এখন আদা রসুনের কেজি ২০০ টাকার নিচে।
সবজি, মাছ-মাংস, মসলার বাজার ছেড়ে ফল বাজারে গেলেও পেঁয়াজের থেকে কম দামে মিলবে বেশিরভাগ ফল। এক কেজি পেঁয়াজের দামে পাওয়া যাবে দুই থেকে আড়াই কেজি আপেল। কারণ মানভেদে এখন আপেল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা কেজি। এক কেজি পেঁয়াজের দামে দুই কেজি কমলা লেবুও কেনা সম্ভব। বাজার ও মানভেদে প্রতিকেজি কমলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা কেজি।
শুধু কি আপেল আর কমলা? না, আঙ্গুর, বেদানা, সফেদা, নাট ফল, মাল্টাও বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের চেয়ে কম দামে। বাজার ভেদে আঙ্গুর পাওয়া যাচ্ছে ২০০-২৪০ টাকা কেজির মধ্যে। বেদানা পাওয়া যাচ্ছে ১৫০-২২০ টাকার মধ্যে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৬০ টাকা কেজি।
ফল বাজার ছেড়ে মুদি দোকানে গেলেও বেশিরভাগ পণ্য মিলবে পেঁয়াজের থেকে কম দামে। এক কেজি পেঁয়াজের দামে ভালো মানের মিনিকেট চাল পাওয়া যাবে পাঁচ কেজির ওপরে। কারণ এখন বাজারভেদে মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।