রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মীরসরাই উপজেলায় ক্ষীরা চাষের উপযোগী আবহাওয়া থাকায় এবার ক্ষীরা চাষিদের মুখে হাসি ফোটেছে। ক্ষীরা চাষ করে বাম্পার ফলন ও আশাতীত ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। প্রতিমণ ক্ষীরা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে আটশ’ থেকে এক হাজার টাকায়। যা উৎপাদন খরচের চেয়ে তিন গুণ বেশি। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতিবছরই ক্ষীরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন নতুন নতুন কৃষক।
মীরসরাই উপজেলায় এই বছর প্রায় ৮০-৯০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষাবাদ করা হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়। উপজেলার মাঠে মাঠে কৃষকরা এখন ক্ষীরার জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। পরিবারে ছোট থেকে বড় সবাই অবিরাম ক্ষীরার জমিতে নিড়ানি, সার কীটনাশক ছিটানো আর পানি দেয়া নিয়ে মহাব্যস্ত। উপজেলার হিঙ্গুলী, ইছাখালী, সাহেরখালী, খৈয়াছড়া, মঘাদিয়া ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ ক্ষীরার চাষাবাদ করা হয়েছে। সবুজ ডগার ক্ষীরা গাছে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে আগাম জাতের কিছু ক্ষীরা উঠতে শুরু করেছে। দামও আকাশছোঁয়া।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে চাষীদের নিয়ে আসা ক্ষীরা ক্রয় করে ব্যাপারীরা ট্রাকযোগে ঢাকা,চট্টগ্রাম,ফেনী সহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে তারা লাভবান হচ্ছেন। আগাম শীতকালীন ফসল হিসেবে ক্ষীরা চাষাবাদ করে কয়েক হাজার কৃষক এখন সচ্ছল স্বাবলম্বী।
সরেজমিন উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নে ক্ষীরার মাঠে গিয়ে কথা হলো মধ্যম আজমনগর গ্রামের ক্ষীরা চাষী আনিস মিয়া জানান, অন্য ফসলের চেয়ে ক্ষীরা চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এ চাষাবাদের প্রতি তার ঝোঁক। একবিঘা জমিতে ক্ষীরার চাষ করতে তার ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারজাত করতে শ্রমিক খরচ আরও ৮ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র বর্গাচাষিরা প্রতিবিঘা জমি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে আবাদ করায় তাদের খরচ আরও বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ দিনে তিনি প্রায় ৫৫ হাজার টাকার ক্ষীরা বিক্রি করেছেন। ক্ষেত থেকে তোলা যাবে আরও প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকার ক্ষীরা।
তবে একই গ্রামের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফেনী নদীর কোল ঘেঁষে আমাদের আজমনগরে ক্ষীরা চাষ করে এলাকার সাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এই ফেনী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে বিলিন হচ্ছেন শতশত পরিবার সহ ফসলী জমি। তিনি দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।