রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
৪ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী বদিউল আলমকে পটিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত ১৩ নভেম্বর রাতে স্ত্রী জেসমিন আক্তার বাচু (৩০) কে স্বামী বদিউল আলম পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ। পুলিশ বুধবার জেসমিনের লাশ উদ্ধার এবং স্বামী বদিউল আলমকে গ্রেফতার করে। এব্যাপারে জেসমিন আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দেন। উক্ত এজাহার সূত্রে গতকাল বৃহস্পতিবার পটিয়া থানা পুলিশ হত্যা মামলা দায়ের করে।
এজাহার সূত্রে জানা যায় বিগত ১৩ বছর পূর্বে হাইদগাঁও মহিউদ্দীন চেয়ারম্যান বাড়ীর মৃত আহমদুর রহমানের কন্যা জেসমিন আক্তার বাচুর সাথে উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র বদিউল আলম এর মধ্যে বিবাহ হয়। বর্তমানে জেসমিন আক্তারের ১৯ মাসের একটি বাচ্চা সহ ৪টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী বদিউল আলম প্রায় সময় তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার কে চাপ প্রয়োগ করে বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক আদায় করত। অধিকাংশ সময় বদিউল আলম বেকার অবস্থায় দিন কাটিয়ে মদ, জুয়ার সাথে লিপ্ত থাকত। কয়েকদিন আগে স্বামী বদিউল আলম স্ত্রী জেসমিনকে তার মায়ের থেকে আরো কিছু টাকা এনে দেওয়ার চাপ প্রয়োগ করে। এতে জেসমিন অপারগতা প্রকাশ করে ও বুধবার রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্ত্রী জেসমিনকে মারধর করে। রাত ২টার মধ্যে দুই দফা শারীরিক নির্যাতনে জেসমিন মারা যায়। ঘটনাটি ঘটে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বাড়ী এলাকায়।
এসংক্রান্তে বদিউল আলমের প্রতিবেশী আওয়ামীলীগনেতা আলমগীর খালেদ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন জেসমিন আক্তারকে কেউ হত্যা করেনি সে আত্মহত্যা করেছে। পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দীন জানান ঘটনাটি স্ত্রীর পক্ষ থেকে হত্যা ও স্বামীর পক্ষ থেকে আত্মহত্যা বলা হলেও লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। জেসমিন আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান হত্যা সংক্রান্ত একটি এজাহার দিয়েছেন। এজাহার অনুযায়ী হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। স্বামী বদিউল আলমকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।