গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম। তিনি দক্ষিণ খান থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও ঢাকা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিমানবন্দর মোড়ের মসজিদ কমপ্লেক্স, ফুটপাত, পাবলিক টয়লেট, রাস্তা, সাইনবোর্ড, খাসজমি ও সাধারণ মানুষের জমি দখলসহ রয়েছে বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
বাবা মফিজ উদ্দিন বেপারি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। স্থানীয় এমপি ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের আত্মীয় হিসেবে অপ্রতিরোধ্য এই পরিবারটি।
রাজধানীরবিমানবন্দর, কাওলা, শিয়ালডাঙ্গা ও গাওয়াইরসহ আশপাশের এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজির জন্যরয়েছে নাঈমের নিজস্ব বাহিনী রয়েছে। লাইসেন্সকরা কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে নাঈমের। কাউন্সিলর হাবার আগেই লাইসেন্সকৃত অস্ত্র নেন তিনি। প্রয়োজন ছাড়াই করেন সেই অস্ত্রের ব্যবহার। চার-পাঁচ বছর আগে নিজের বিয়ের সময় শটগানেরগুলি ফুটিয়ে বউ বরণ করেন নাঈম। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
এছাড়া নিজ এলাকায় বিভিন্ন সময় অপ্রয়োজনে গুলি ফোটান তিনি। এ নিয়ে এলাকার মানুষ সব সময় নাঈমের বিষয়ে আতঙ্কে থাকেন। নাঈম কোন নির্দেশ দিলে তার প্রতিবাদ করার সাহস কারো হয় না। কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশকোনাস্থহাজী ক্যাম্পে গেলে এসএসএফ’র হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়েছিলেন নাঈম। কিন্তু ক্ষমতার ব্যবহারেতিনি আবার ছাড়া পান।
লাইন্সেকৃত অস্ত্রের বিধি সম্পর্কে জানা যায়, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে জান মালের নিরাপত্তানিশ্চিতের জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়। একজন ব্যক্তি দুইটি অস্ত্রের বেশি লাইসেন্স পাবেন না। পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকতা বলেন, লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের অপব্যবহার করলে সেই লাইসেন্স বাতিল করা হয়। যেমন- রাস্তা ঘাটে কুকুরকে গুলি করা, বিয়ে বা অন্য অনুষ্ঠানে গুলি ফুটিয়ে আনন্দ করা, এলাকাতে গুলি ফুটিয়ে খেলার উদ্বোধন ইত্যাদি। তবে পিস্তুল টেস্টিং তথা কার্যকরিতা যাচাই করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে এমনটি করা যেতে পারে।
গুলি ফোটানোর বিষয়ে কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম ইনকিলাবকে বলেন, চার-পাঁচ বছর আগে আমি গুলি ফুটিয়েছিলাম কিনা তা মনে নেই। তবে সে সময় শটগান নতুন নিয়েছিলাম, হয়তো প্র্যাকটিস করেছিলাম। গুলি ফোটানোর পর জিডি করেছিলেন বলে জানান নাঈম ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, বিনা কারণে এভাবে গুলি ফোটানোর নিয়ম নেই।
নাঈম আরো বলেন, আমি যদি অস্ত্র দিয়ে কোন অপরাধ করি তাহলে আমার বিরুদ্ধে আপনারা লেখেন সমস্যা নেই, কিন্তু আমি তো কোন অপরাধ করিনি। জমি দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই আমি ওয়ারিশ সূত্রে পেয়েছি। জমি নিয়ে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আমার দাদার সময় ছিল, আমি তো তা জানি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।