Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাঙ্গর-শ্রেনীর সাবমেরিন পেতে যাচ্ছে পাক নৌবাহিনী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৪৩ পিএম

২০১১ সালে তিনটি টাইপ-২১৪ সাবমেরিন নির্মাণ চুক্তি ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তান নৌবাহিনী (পিএন) চারটি এয়ার-ইনডিপেনডেন্ট প্রপালশন (এআইপি)-যুক্ত সাবমেরিন তৈরির জন্য চায়নায় শিপবিল্ডিং এন্ড অফশোর ইন্টারন্যাশনাল কো. লি. (সিএসওসি)’র সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তান সরকার এই ক্রয় অনুমোদন করে। প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয় এগুলোকে এস২০ হিসেবে অভিহিত করে।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের এক রিপোর্টে সাবমেরিন চুক্তির মূল্য ৪-৫ বিলিয়ন ডলার উল্লেখ করা হয়। এতে মনে হয় চুক্তিতে শুধু সাবমেরিনই নেই। ২০১৭ সালের শেষ ও ২০১৮ সালের প্রথম দিকে চীনের কাছ থেকে চারটি টাইপ ০৫৪এ/পি ফ্রিগেট কেনার জন্য চুক্তি করে পিএন। মনে হয় ৪-৫ বিলিন ডলারের যে অংক উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে এগুলোও রয়েছে। ২০১৬ সালের আগস্টে নৌবাহিনীর নতুন সাবমেরিন কর্মসূচির প্রধান প্রকল্প পরিচালক জাতীয় পরিষদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে জানান যে, চার সাবমেরিনের প্রথমটি ২০২২-২৩ সালে পাকিস্তানে এসে পৌছাবে। বাকিগুলোর নির্মাণ শেষ হবে ২০২৮ সালের মধ্যে। শেষেরটি নির্মাণ করা হবে করাচি শিপইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস (কেএসইডব্লিউ)-এ।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ জাকাউল্লাহ ঘোষণা করেন যে নতুন সাবমেরিনগুলোর নামকরণ করা হয়েছে হাঙ্গর-ক্লাস। পাকিস্তান ১৯৬০-এর দশকে ফ্রান্সের কাছ থেকে ডফিন ডিজেল-ইলেক্ট্রিক সাবমেরিন (এসএসকে) সংগ্রহ করে। তবে নতুন হাঙ্গর-শ্রেনীর সাবমেরিনগুলোর সাবসিস্টেম বা কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হবে তা জানায়নি পিএন। সাবমেরিনে কি ধরনের এআইপি ব্যবহার করা হবে তাও জানা যায়নি। তবে, সিএসওসি’র এস২৬ ডিজাইন দেখে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন হাঙ্গর ক্লাসে স্টারলিং এআইপি সিস্টেম ব্যবহার করা হতে পারে।

থাইল্যান্ড ১.০৪ বিলিয়ন ডলার দামে তিনটি এস২৬টি কিনছে। প্রতিটির দাম পড়েছে মোটামুটি ৩৪৭ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালের আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ও সেমিনারে (আইডইএএস) কেএসইডব্লিউ হাঙ্গার সাবমেরিনের একটি স্কেল মক-আপ প্রদর্শন করা হয়। সেখানে কিছু বৈশিষ্ট্যও উল্লেখ করা হয়েছে। এস২৬ ডিজাইনের মতো হাঙ্গার-শ্রেনীতেও ছয়টি টর্পেডো টিউব দেখা যায়। এগুলো থেকে হেভি টর্পেডো ও জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইল (এএসসিএম) ছোঁড়া যাবে।

হাঙ্গর ক্লাস সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য হয় সাধারণত ৭৬ মিটার, ডিসপ্লেসমেন্ট ২,৮০০ টন, ড্রাফট ৬.২ মিটার ও গতি ঘন্টায় ১০ নট। কিন্তু এরপরও এস২৬-এর সঙ্গে হাঙ্গরের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এস২৬-এর চেয়ে হাঙ্গরের ডিসপ্লেসমেন্ট বেশি (২,৫৫০ ও ২,৮০০)। তাছাড়া মনে হচ্ছে হাঙ্গরের সর্বোচ্চ গতির বিষয়টি কেএসইডব্লিউ প্রকাশ করেনি। হাঙ্গরের হাল কিছুটা খাটো (৭৬ মিটার, এস২৬-এর ৭৭.৭ মিটার)। এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে হাঙ্গর সাবমেরিন সম্পর্কে এটুকুই জানা যায়। তবে হেভিওয়েট টর্পেডো ও এএসসিএম ছাড়াও পাকিস্তান নৌবাহিনী এগুলো থেকে ক্রুজ মিসাইল (এসএলসিএম) ছুঁড়তে পারে। বিশেষ করে হাঙ্গর থেকে বাবুর-৩ এসএলসিএম ছোঁড়া হতে পারে। এই এসএলসিএমের পাল্লা ৪৫০ কিলোমিটার।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ