নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : দু’দফা মিলে মোট ৭ বছর প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব করেছেন পালন ফারুক আহমেদ। প্রথমবার ২০০৩ থেকে ২০০৭, দ্বিতীয় দফায় ২০১৩’র ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বহাল আছেন এই পদে। তার আমলে বাংলাদেশ ক্রিকেট পেয়েছে এক ঝাঁক তরুণ এবং মেধাবী ক্রিকেটার। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরমেন্স যখন উর্ধ্বমূখী তখন দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি গঠনের প্রস্তাবে বিসিবি অনুমোদন দেয়ায় দল নির্বাচনে নির্বাচকদের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপের শংকা প্রবল হওয়ায় প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ফারুক আহমে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে পদত্যাগ পত্র বোর্ডে জমা দিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। একটি অনলাইনকে দেয়া টেলিফোনে সে ঘোষণাই দিয়েছেন ফারুকÑ ‘এই কাঠামোয় আমার পক্ষে কাজ করার সম্ভব হবে না। নির্বাচকদের কাজ হওয়া উচিত স্বাধীন; কিন্তু এখানে সেই স্বাধীনতাই থাকবে না। আমরা দল নির্বাচন করার পর যদি সেটি নিয়ে আরেকটি কমিটির কাছে যেতে হয়, তাহলে আমাদের বিচারের মূল্য থাকে না।’
তবে ফারুক এই সিদ্ধান্তে অটল থাকলে তাকে আটকাবে না বিসিবি, গতকাল বিকেএসপিতে আবাহনী-রূপগঞ্জের খেলা দেখতে এসে সে অবস্থানের কথা গতকাল জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপিÑ ‘ফারুক আমার অত্যন্ত প্রিয়। তার অতীত দেখে তাকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক আলাপ আলোচনায় প্রধান নির্বাচক পদটা ছিল না। তাকে সম্মান দিতেই প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে। ফারুক এখনও বোর্ডকে কিছু জানায়নি। আমার সঙ্গেও কোনও আলোচনা করেনি। তবে এমন পদ্ধতিতে যদি তার সমস্যা মনে হয়, তাহলে সে পদত্যাগ করতে পারে। তাকে আটকানোর প্রশ্নই আসে না। তার সঙ্গে কোনও প্রকার আলোচনা করার ইচ্ছে আমাদের নেই।’
নির্বাচক প্যানেলে কোচ, ম্যানেজারকে যুক্ত করার সপক্ষে বিসিবি সভাপতির যুক্তিÑ ‘আমি বার বার বলেছি, বাংলাদেশ দলের বর্তমান সাফল্য এবং নতুন প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনার পেছনে কোচ ও ম্যানেজারের ভূমিকা অনেক বেশি। তাই নির্বাচক কমিটিতে তাদের প্রয়োজন আছে। মুস্তাফিজ কিভাবে দলে এসেছে? পাকিস্তানের বিপক্ষে মুস্তাফিজকে তো ওরা (নির্বাচকরা) খেলতে দিতে চায়নি নির্বাচকরা। আমি শুধু এটাই বলবো, যা করে এতোদিন রেজাল্ট এসেছে, আমরা সে পথেই আছি। যা আমাদের ভালো ফল দিচ্ছে সেটাতো আমরা নষ্ট করতে পারি না।›
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচক কমিটি থেকে একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার ও টেস্ট অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে নির্বাচক কমিটি থেকে সরিয়ে নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচকের দায়িত্ব দেয়ায় হাবিবুল বাশার মনোক্ষুন্ন হয়েছেন। প্রকাশ্যে বিসিবি’র এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে না পারলেও বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তিনি। বিসিবি’র সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।