মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের কোর্টেই বল। মহারাষ্ট্রে রাজ্যের সরকার গঠন করতে যাচ্ছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। এখন শুধু কংগ্রেস হাইকমান্ড ‘হ্যাঁ’ করলেই আপাতত সরকার গঠন নিশ্চিত হবে।
উদ্ধব ঠাকরে-শরদ পওয়ার দু’জনই এখন তাকিয়ে সোনিয়া গান্ধীর দিকে। কংগ্রেসও ইতিমধ্যে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করেছে। মহারাষ্ট্রের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত মতামত জানাবে দল। শিবসেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, উদ্ধব ঠাকরে সোনিয়াকে ফোন করেছেন। অন্য দিকে, দলের হাত শিবসেনা-এনসিপিকে সমর্থনের দিকেই ঝুঁকে বলেই কংগ্রেস সূত্রে খবর।
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে শিবসেনার একমাত্র সদস্য পদত্যাগ করার পরেই মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা জোরদার হয়। এনসিপি নীতিগত ভাবে সরকার গঠনে সম্মত হলেও শরদ পওয়ার বল ঠেলে দেন কংগ্রেসর কোর্টে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কংগ্রেসও অবস্থান অনেকটাই নরম করেছে। সকালের দিকেই দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়েছে দিল্লিতে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতার ইঙ্গিত, তারাও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে শিবসেনা-বিজেপি জোটকে সমর্থনের পক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন। যদিও সেটা সর্বসম্মত নয়। বিরুদ্ধ মতামতও রয়েছে। বৈঠকের পরে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের নেতারা কী চাইছেন, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’
এ দিন বিকেলে মহারাষ্ট্রের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, মহারাষ্টের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহাণ, অশোক চৌহাণ এবং সুশীল কুমার শিন্ডে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বালাসাহেব থোরাট-সহ দলের ছয় নেতা সেই বৈঠকে থাকবেন। তাদের মতামত জানার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন সোনিয়া। অশোক চৌহাণ বলেছেন, ‘যা যা বিকল্প আছে, সব নিয়েই আমরা আলোচনা করছি। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’ তবে সমর্থনের পক্ষে ইঙ্গিত করে তার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘কংগ্রেস মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকারের পক্ষে এবং রাষ্ট্রপতি শাসনের বিপক্ষে।’
কিন্তু কংগ্রেসের একটি সূত্রের ইঙ্গিত, সেনা-এনসিপি জোটকে সমর্থনের প্রশ্নে মহারাষ্ট্রের নেতারাও দু’ভাগ। এক পক্ষ সরকারে যেতে চাইলেও শিবসেনার সঙ্গে সরকার গঠনে আপত্তি রয়েছে তাদের একাংশের। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়ক সঞ্জয় নিরুপম যেমন টুইটারে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, যে সমীকরণই হোক, শিবসেনাকে সমর্থন করা কংগ্রেসের জন্য বিপজ্জনক হবে। ফলে এ নিয়ে দিল্লির নেতারাও চাপে। অথচ শরদ পওয়ার এ দিন দলের কোর কমিটির বৈঠকের পর সেই কংগ্রেস নেতৃত্বের উপরেই সিদ্ধান্তের ভার ছেড়েছেন। কার্যত ইঙ্গিত দিয়েছেন, কংগ্রেসের সবুজ সঙ্কেত পেলে শিবসেনার সঙ্গে সরকার গঠনে তার কোনও আপত্তি নেই।
কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আগে জানিয়েছিলেন, শিবসেনাকে সমর্থন করবে তাদের দল। কিন্তু বিজেপি সরকার গঠনের দাবি করবে না, এই ঘোষণার পরেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সরকার গঠনের দাবি জানানোর তোড়জোড় শুরু করে শিবসেনা। পওয়ার আগেই শিবসেনাকে শর্ত দিয়েছিলেন, এনসিপির সঙ্গে সরকার গঠন করতে হলে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তাদের। সেই শর্ত মেনেই আজ সোমবার সকালে কেন্দ্রে শিবসেনার একমাত্র মন্ত্রী পদত্যাগ করে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি উদ্ধব ঠাকরে নিজে শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। দু’দল নীতিগত ভাবে সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।