বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ঝালকাঠিতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচন্ড বাতাসে ৮১৭টি কাাঁচা ঘরবাড়ি ও ৪১৫ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। টানা বৃষ্টি এবং সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট বেড়ে তলিয়ে গেছে ৬১৫টি মাছের ঘের ও পুকুর। এছাড়াও ৪১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমির উঠতি আমন, ৫ হাজার ২২০ হেক্টরের অন্যান্য ফসল, ১ হাজার ৪৫০ হেক্টরের শাক সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি বন্দি হয়ে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষথেকে জানিয়েছে, জেলার বিভন্ন স্থানে তিন শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এরা সবাই সোমবার সকাল থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বৈদুতিক লাইনের ওপর গাছপালা পড়ে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের কিছু এলাকায় দুপুরে বিদ্যুত সরবরাহ চালু হয়েছে। বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেকে পরিবারের রান্না হয়নি দুই দিন ধরে। ভেঙে যাওয়া ঘর মেরামত করছেন অনেকেই। কেউ আবার উপড়ে পড়া গাছপালা অপসারণের কাজে ব্যস্ত রয়েছে। বিদ্যুত সরবরাহ দ্রুত চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষ মাঠে কাজ শুরু করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন এবং সঠিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। কৃষকদের তারা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী এবং কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, অওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং চেম্বারের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। রবিবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় একহাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির ও চেম্বার সভাপতি সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৫ জন লোক কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া রোপা আমন ও শীতকালীন সবজি, পানের বরজ আক্রান্ত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১০০ মেট্টিকটন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। এগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।