নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে শেষ মুহূর্তের গোলে উড়িয়ে দিয়ে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো টিম বিজেএমসি। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে বিজেএমসি ১-০ গোলে হারায় মুক্তিযোদ্ধাকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান তপু। এই জয়ে বিজেএমসি আগামী ২৩ জুন ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। একদিন পর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শেখ রাসেলের প্রতিপক্ষ আবাহনী। দু’টি ম্যাচই হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বেলা পৌনে ৪টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি ওয়ার্ল্ড।
কাল ম্যাচের থেকে আক্রমণাত্ম ফুটবল খেলে মুক্তিযোদ্ধা। ম্যাচের প্রথম সুযোগটিও পায় তারা। ৬ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কলো মুসার ব্যাকপাস রিসিভ করে গোলবার লক্ষ্য করে শট নেন মিডফিল্ডার মোবারক। কিন্তু বল সহজেই গ্রিপে নেন বিজেএমসি গোলরক্ষক আরিফুজ্জামান হিমেল। ১৮ মিনিটে আরও একটা সুযোগ আসে মুক্তিযোদ্ধার। এসময় ডানপ্রান্ত থেকে নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার সিমনের শট বক্সে ক্লিয়ার করেন বিজেএমসির ডিফেন্ডাররা। ৪২ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজতম সুযোগ নষ্ট করে মুক্তিযোদ্ধা। বিজেএমসি গোলরক্ষক হিমেলের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় তারা। এসময় বক্সের কাছেই ফ্রি কিক পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। বাঁম পায়ে জোরালো ফ্রি কিক করেন ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। কিন্তু বল ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেন হিমেল। গোলশূন্য অবস্থায় প্রথমার্ধ শেষ হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ধারাবাহিক আক্রমণে থাকে মুক্তি। ৫৭ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কলো মুসার ক্রস বক্সে পান মিডফিল্ডার সিমন। গোলরক্ষককে ওয়ান-টু-ওয়ান পজিশনে পান তিনি। এসময় বলে ঠিক মতো পা লাগাতে পারেননি বলে গোলের দেখা পাননি সিমন। ৮২ মিনিটে সুযোগ এসেছিল বিজেএমসিরও। বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে বিজেএমসির সৈকত মাহমুদের গড়ানো ক্রসে স্যামসন ইলিয়াসুর বাঁম পায়ের শট গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে আবারও শট নেন ইলিয়াসু। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল ফেরত আসে। ৮৯ মিনিটে কর্নার থেকে গোলের একটা সুযোগ এসেছিল মুক্তিযোদ্ধার। কর্নারের বল পোস্টের সামনে দিয়ে কেটে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে আহমেদ কলো মুসা পা ছোঁয়াতে পারলে গোল হতে পারতো। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি। অবশেষে খেলার ধারার বিপরীতে গোল পায় বিজেএমসি। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে (ইনজুরি সময়ে) বিজেএমসির আব্দুল্লাহ আল পারভেজের কর্নারে ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান তপু হেডে গোল করে দলকে আনন্দে ভাসান (১-০)। তার এ গোলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় বিজেএমসির
।সেমিফাইনালের লাইনআপ
২৩ জুন আরামবাগ-বিজেএমসি
২৪ জুন আবাহনী-শেখ রাসেল
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, বেলা পৌনে ৪টা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।