পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১১ ও ১২ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন সেচ্ছাসেবক লীগের মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সম্মেলন। এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে প্রস্তুতি কমিটি। সম্মেলনের কাজও শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। পদপত্যাশীরাও দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন যে যার মতো। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দারস্থ হচ্ছেন পদ নিশ্চিতের জন্য। আর প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে শো-ডাউন দিচ্ছেন।
সূত্রে জানা যায়, সম্মেলন না হওয়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ আলাদা একক কমিটি নিয়ে ১৩টি বছর পার করছে। ২০০৬ সালের ৩১ মে ঢাকা মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগরকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সভাপতি দেবাশিষ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান টিটু এবং উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগে মোবাশ্বের চৌধুরী সভাপতি ও ফরিদুর রহমান ইরান সাধারণ সম্পাদক হন। ২০১২ সালে সেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট করার প্রস্তাব পাস করা হয় কিন্তু এখনো ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দিয়ে সংগঠনের কাজ করছেন বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ধাপে ধাপে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পছন্দমত একেক জনকে একেক পদ দিয়েছেন। এ নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে মহানগরের দুই অংশ এখনো কয়েকটি থানা কমিটিও দিতে পারেনি। পুরাতন বেশ কয়েকটি থানার পাশাপাশি নতুন থানাগুলোতেও কমিটি নাই। ১৭ বছর আগে দেয়া কমিটি দিয়েই চলছে কয়েকটি থানা। দীর্ঘ দিন কমিটি না থাকায় সংগঠনের কাজ এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়ে ছিল।
সম্মেলনের ঘোষণায় আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগ। ১১ নভেম্বর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহানগর দক্ষিণের এবং ১২ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে মহানগর উত্তরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদের আলোচনায় রয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদ ও আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও শেখ আনিসুর রহমান রানা।
কামরুল হাসান রিপন বিরোধী দলের সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এবং এক-এগারোর সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সে সময় রিপন-রোটন কমিটির কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন কামরুল হাসান রিপন।
বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরান একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় পুলিশি নির্যাতনে মাদারীপুর ছেড়ে ঢাকা আসেন। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু তার। মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ইনকিলাবকে বলেন, এক-এগারোর সময় নেত্রীর মুক্তির জন্য রাত-দিন মাঠে ছিলাম। নেত্রীর তার ত্যাগী নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করবেন এই প্রত্যাশা করছি।
বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদ ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।
ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদের আলোচনা রয়েছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া। আরো আলোচনায় আছেন, বর্তমান কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সরদার, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লায়ন এম এ লতিফ।
কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন এই সংগঠনের সঙ্গে রয়েছি। দুর্দিনে মাঠে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তার পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করবেন এটা আমরা আশা করছি।
মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। দশ বছর ধরে মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগ সৎ, দক্ষ ও সচ্ছ ভাবমূর্তির নেতৃত্ব উপহার দেবেন বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। দীর্ঘ দিন ধরে সেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করছি, কাজের মূল্যায়ন হবে বলে আশাবাদি এই নেতা।
ইসহাস মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, আমি ছাত্রলীগে দায়িত্ব পালন করেছি, আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ মত সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করেছি। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক ছাত্রলীগের নেতাদের মূল্যায়ন করবেন বলে আশাবাদি।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ইনকিলাবকে বলেন, দীর্ঘদিনে ধারাবাহিক রাজনীতির সাথে যারা জড়িত, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক হিসেবে যারা নিবেদিত, এই ধরণের আর্দশবান, ত্যাগী ও যারা ঐতিহ্যগত ভাবে জাতির পিতার আদর্শে বিশ্বাসী এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাদের মাঝ থেকে আগামী কাউন্সিলে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকলে কাউকে সংগঠনের জায়গা দেয়া হবে না। সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।