Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতকে ছাড়াই বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যচুক্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ৯:১৯ পিএম | আপডেট : ১২:০৪ এএম, ৬ নভেম্বর, ২০১৯

ভারত শেষ মুহুর্তে বের হয়ে গেলেও চীন সহ ১৪ টি দেশ এই সপ্তাহে ব্যাংককে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য চুক্তি - দি রিজিওনাল কমপ্রেহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) গড়ে তোলার পরিকল্পনার বিষয়ে একমত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিসংঘের ১০ সদস্যের সমিতি (আসিয়ান), জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য করার লক্ষ্যে আগামি বছর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাচ্ছে সদস্য দেশগুলো।
তবে আরসিইপি’র বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিশদ তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি বহু অঞ্চল জুড়ে ক্রমান্বয়ে বাণিজ্য শুল্ক কমিয়ে আনবে।

এর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, একটি কোম্পানি এক কাগজপত্রের মাধ্যমেই সদস্য দেশগুলোর প্রতিটি দেশে পণ্য রফতানি করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা কাগজপত্র পূরণ করতে হবে না।
এশীয় বাণিজ্য কেন্দ্রের দেবোরাহ এলমস এ বিষয়ে বলেছিলেন, “উৎপাদনকারীদের জন্য এটি একটি বিশাল সুযোগ। আমাদের এখন যা নেই তা হল এশিয়ার চূড়ান্ত বাজারের জন্য এশীয় বাণিজ্য। এটি এই ঘাটতি পূরণ করবে। "
সংস্থাটি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পণ্য রপ্তানির সরবরাহ চেইন তৈরি করার জন্য প্রণোদনা দেবে।

চুক্তিতে পরিষেবা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি রক্ষা করার বিষয়ও রয়েছে।

তবে আরসিইপিকে ১১ টি এশিয়া-প্যাসিফিক দেশের মধ্যে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি) এর জন্য বিস্তৃত ও প্রগতিশীল চুক্তির মতো "উচ্চ মানের" বাণিজ্য চুক্তি হিসাবে দেখা যায় না, কারণ এটি এতটা আচ্ছাদন বা সমন্বয় সাধন করে না।

শুল্ক নির্ধারণ হবে দেশগুলোর মধ্যে। কিছু দেশের ক্ষেত্রে কৃষির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলিকে স্পর্শ করা যাবে না। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে উদারকরণ করা বা শ্রমিক ও পরিবেশ রক্ষার বিধানের অভাব রয়েছে এই চুক্তিতে।
এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও এর বাস্তবায়ন শুরু হতে কয়েক মাস এবং বাস্তবায়ন সম্পন্ন করতে কয়েক বছর সময় লাগবে। জটিল হিসাব নিকাশ পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে জটিল করে ‍তুলতে পারে।

অংশগ্রহনকারী ১৫ টি দেশ বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা ধারণ করে। এই জোটে ভারত যোগ দিলে পৃথিবীর অর্ধেক জনগোষ্ঠী এই চুক্তির অধীনে থাকতো। আরসিইপি’র সদস্য দেশগুলো বিশ্বব্যাপী গৃহস্থলি পণ্যগুলির প্রায় এক তৃতীয়াংশ ধারণ করে।

ভারত এই জোটে পরবর্তীতে যোগ দিতে পারে এবং ইন্দোনেশিয়া ও জাপান এই জোটে থাকার পক্ষে কঠোর লবিং করে চলেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্যান্য সদস্যদের একমত হওয়া শর্তগুলি প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে জোরালো ছিলেন।

ভারতের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হল চীন বা অন্য দেশগুলোর সস্তা পণ্য। জোটের অন্যান্য দেশগুলির জন্য ভারতকে হারানোর অর্থ হলো, তারা এমন একটি বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না যেখানে প্রবেশ করা আগে থেকেই শক্ত। এবং তারা ভারতকে সহজে সরবরাহ চেইনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে না।

চীনের সাথে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ আরসিইপি’র এগিয়ে যাওয়ায় আরও বেশি গতি দিয়েছে,। অথচ উদ্যোগটি ২০১২ সাল থেকে ধীরগতিতে অগ্রসর হয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যচুক্তি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ