পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘পেশাগত দক্ষতা অর্জন আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ দক্ষতা একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে, তেমনি সংগঠনের জন্যেও বয়ে আনে সুনাম ও মর্যাদা। তাই আপনাদের গড়ে উঠতে হবে দক্ষ এবং আদর্শ বিমানসেনা হিসেবে। আমাদের বিমান বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’-বিমান বাহিনীর (বিএএফ) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এসব কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিএএফ বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডপ্রাপ্ত ১, ৩, ৫, ৮, ৯ ও ৭১ নম্বর স্কোয়াড্রনের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও কঠোর পরিশ্রম। যেকোন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন অদম্য স্পৃহা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা। আর এর সফল পরিসমাপ্তি হচ্ছে অর্জন। তাই বিমান বাহিনীর অর্জনকে নতুন উচ্চতায় নিতে আপনাদেরকে নিরলস প্রয়াস চালাতে হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সামরিক কৌশলগত দিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিধি ও সম্ভাবনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
‘এ লক্ষ্যে ফোর্সেস গোলস ২০৩০ এ আওতায় বিমান বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসসহ অত্যাধুনিক বিমান ও যন্ত্রপাতি সংযোজনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে নির্মিত এ সেন্টারের লক্ষ্য হলো সব ধরনের বিমান, র্যাডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ এবং ওভারহলিং করা,’ যোগ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টারে বিদেশি বিমান বাহিনীর বিমান ও হেলিকপ্টারের ওভারহলিং কাজ করাও সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।
যুদ্ধবিমানসহ বিমান বাহিনীর সকল যন্ত্রপাতি যথাযথ সংরক্ষণে আরও যতœশীল ও মনযোগী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি কারণ এগুলো অত্যন্ত মূল্যবান।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের জন্য নিরাপত্তা অপরিহার্য। এ জন্য আমাদের আকাশসীমার নিরাপত্তাও অনেক বেশি জরুরি।
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের বিমান বাহিনী এ দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করতে সক্ষম হবে,’ বলেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাশসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং বিএএফ বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির কমান্ডার এয়ার ভাইস মার্শাল এম সায়েদ হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
সায়েদ হোসেন ও উইং কমান্ডার মাসুদুর রহমানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি একটি খোলা জিপে চড়ে বিমান বাহিনীর সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। সূত্র : ইউএনবি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।