পরিবারের পক্ষ থেকে সাদেক হোসেন খোকার লাশ ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। খোকার শ্যালক শফিউল আজম খান বিবিসি বাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
খোকার শ্যালক জানান, দুই বছর আগে সাদেক হোসেন খোকার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিউইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেও জবাব পাননি। এখন তার মৃতদেহ ঢাকায় নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসে ট্রাভেল ডকুমেন্টের জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন। সেই কাগজ হাতে পাওয়ার পরই তার মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার সময়ক্ষণ পরিবার ঠিক করবেন।
এর আগে গতকাল রোববার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জানান, ‘নিউইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার পরিবার “ট্রাভেল পারমিট” এর জন্য আবেদন করলে আমাদের মিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি এবং তার স্ত্রীর যেহেতু পাসপোর্ট নেই সেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে অন্য দেশ থেকে নিজের দেশে ফেরার এটাই একমাত্র ব্যবস্থা।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্ট্যাটাসে আরও জানান, ‘আমি আমাদের নিউইয়র্কের কনস্যুলেটে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।’
মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম আরও জানান, ‘তিনি এবং তার স্ত্রীর নামে মামলা আছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও থাকতে পারে (আমি নিশ্চিত নই) কিন্তু মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে যা জেনেছি, তাদের আগমনের পর বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে।’
প্রসঙ্গত, আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাদেক হোসেন খোকা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গত ১৮ অক্টোবর মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় তাকে ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে গত এক সপ্তাহ তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন।
চিকিৎসকেরা সাদেক হোসেন খোকার সুস্থ হয়ে ওঠার সবরকম আশা ছেড়ে দেন। এ কারণে হাসপাতালে যত লোক তাদের প্রিয় নেতাকে দেখতে গিয়েছেন সবার সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। সবার কাছেই তিনি দোয়া চেয়েছেন।