পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘দুদেশের সম্পর্ক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ভালো থাকলেও মানুষে মানুষে এখনো মানসিক দূরত্ব রয়ে গেছে। ফেনী নদীর পানি, তিস্তা চুক্তি ও এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে বিরূপ মনোভাব রয়েছে। এ দূরত্ব কমিয়ে আনা দরকার। মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’- বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপ-নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এসব কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ত্রিপুরা রাজ্যের স্পিকার রেবতি মোহন দাসসহ ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সার্ক কালচারাল সোসাইটির পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা বিজেপির বিধায়ক আশীষ কুমার সেন, আগরতলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সার্ক কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সুজন দে।
জি এম কাদের বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে ভারতের যে সমস্যা ছিল তা মিটে গেছে। তাদেরকে নির্মূল করা হয়েছে। এখন দুদেশের সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ফেনী নদীর পানি ভারত নিলে এদেশের মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে আসলে দেখা গেছে তারা পানি নিচ্ছে খুবই কম পরিমাণ। আবার এনআরসি নিয়েও বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে আতংক রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এনআরসি আমাদের জন্য কোন সমস্যা তৈরি করেনি। ভারত আমাদের তিস্তা নদীর ন্যয্য হিস্যা দিচ্ছে না। এটা নিয়েও জনমনে ক্ষোভ রয়েছে। এভাবে মানুষে মানুষে যে মানসিক দূরত্ব রয়েছে তা দূর করা প্রয়োজন। এক দেশ আরেক দেশের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার স্পিকার রেবতি মোহন দাস বলেন, ত্রিপুরার ৮০ ভাগ সীমান্ত বাংলাদেশের সাথে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক মানুষ ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। এবার বাংলাদেশে এসে আমরাও দলমত নির্বিশেষে অনেক আথিতেয়তা পেয়েছি। বাংলাদেশ আমাদের সৎ প্রতিবেশী। আমাদের বন্ধন আত্মীয়তার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অনুপ চেটিয়াসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নির্মূল করেছে। এতে আমাদের সমস্যা দূরীভুত হয়েছে। এখন ফেনী নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করায় দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। এ সম্পর্ক আরো বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আগামীতেও যেকোন প্রয়োজনে আমরা একে অপরের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দেব।
সভাপতির বক্তৃতায় সৈয়দ আবু হাসেন বাবলা বলেন, দুদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অনেক সহায়তা করেছে। আমরাও ভারতকে অনেক কিছু দিয়েছি। আমরা একে অপরের পরিপূরক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।