শুরুতে সমর্থন দিলেও পাকিস্তানের প্রধান দুটি বিরোধী দল বলেছে, তারা মাওলানা ফজলুর রহমানের দলের অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেবে না। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ইংরেজী দৈনিক ডন এই খবর দিয়েছে। পিপিপি ও পিএমএল(নওয়াজ) এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী
ইমরান খান ও তার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে করাচি থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ইসলামাবাদ আসেন জমিয়তে উলামা ইসলামের নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান। এরপর তারা ইসলামাবাদে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে।
নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ(পিএমএল-এন) ও বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পাটি(পিপিপি) বলেছে, তারা জমিয়তের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবে না।
দলদুটির নেতারা জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই মাওলানা ফজলুর রহমানকে জানিয়েছে দিয়েছেন যে- তার আয়োজিত কর্মসূচির সমাবেশে অংশ নিলেও কোন অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবে না।
নওয়াজ শরিফের দলের মহাসচিক আহসান ইকবাল দ্য ডনকে বলেছেন, আমরা একদিনের জন্য গিয়েছিলাম। প্রতিদিন নয়। আর পিপিপি মহাসচিব ফতুল্লাহ খান বলেছন, তাদের নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনির্দিষ্টকালের কোন কর্মসূচিতে না যাওয়ার।
এদিকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদত্যাগের বিষয়ে বিরোধীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে আপাতত ভাবছে না সরকার। বরং জনসাধারণকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ এনে তারা মাওলানা ফজলুরের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইমরান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারভেজ খাত্তাক বলেন, মাওলানা ফজলুর বলেছেন, জনগন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাকে জোর করে পদত্যাগ করাবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের বক্তব্য বিদ্রোহের শামিল। আমরা সোমবার বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাব।
এর ফলে অনেকটাই একা হয়ে গেলেন মাওলানা ফজলুর রহমান। শুরুত আশা করেছিলেন প্রধান দুটি বিরোধী দলের সমর্থন পেলে সরকারের ভীত নাড়িয়ে দিতে পারবেন। আজাদি মার্চের প্রথম দিন দুটি দল সমর্থন দিয়েছিল। দল দুটির নেতারা বক্তৃতা করেছিলেন সমাবেশে; কিন্তু অবস্থান কর্মসূচির সাথে তারা একাত্মতা প্রকাশ করেনি।