নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে ওয়ার্কিং কমিটি এই কমিটির পরিধি বাড়িয়ে কোচ, ম্যানেজার এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানকে যুক্ত করার যে প্রস্তাবনা দিয়েছে সম্প্রতি, তা নিয়ে মিডিয়ায় কম সমালোচনা হয়নি। পরবর্তীতে টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসে তাদের মতামত নিয়ে দ্বিস্তরবিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি গঠনের যে ফর্মুলা তৈরি করেছিলেন বিসিবি সভাপতি, শেষ পর্যন্ত সেই ফর্মুলাকেই অনুমোদন দিয়েছে বিসিবির পরিচালনা পরিষদ। প্রথম স্তরে থাকছে তিন সদস্যের দল নির্বাচক কমিটি, দ্বিতীয় স্তরে ৬ সদস্যের নির্বাচন প্যানেল। যে প্যানেলে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানকে প্রধান করে টিম অপারেশন্স ম্যানেজার, হেড কোচের সঙ্গে থাকছেন তিন সদস্যের নির্বাচক। গতকাল বোর্ড সভায় এই অনুমোদনের কথাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপিÑ‘জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ওখানে তিনজনের সিলেকশন প্যানেল বহাল থাকছে। যে কেউ এই কমিটির প্রধান থাকতে পারেন। পদটি হতে পারে চেয়ারম্যান, কেউ আবার বলছে চিফ সিলেকটর। তাদের দায়িত্ব হবে খেলোয়াড় নির্বাচন করা। তবে যেকোনো সিরিজ শুরু হওয়ার আগে অপরারেশন্স চেয়ারম্যান্স একটা মিটিং কল করবেন। ওখানে কোচ থাকবেন, টিম ম্যানেজারও থাকবেন। কোচ স্ট্র্যাটেজিক কোনো পরিকল্পনা থাকে, তা বলবেন। খেলোয়াড়দের কোনো ইনপুট থাকলে ম্যানেজার জানাবে। বেসিক্যালি এটা তাদের ইনফর্ম করা। সব সময় যে কোচ ও ম্যানেজারের চাহিদা থাকবে সেটাও নয়।’
২০১৩ সাল থেকে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি বেশ ক’জন ক্রিকেটারকে করেছেন আবিষ্কার। তাসকিন, মুস্তাফিজুর, সৌম্য, তাইজুল, রুম্মান, জুবায়ের তাদেরই আবিষ্কার। তাদের আমলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লক্ষণীয় উন্নতি করেছে। অথচ ৩ বছর পর এই কমিটিতে এলো রদবদল। নির্বাচক কমিটিতে থাকা একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার এবং টেস্ট অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের ঠিকানা হলো এখন বাংলাদেশ নারী দলের নির্বাচক হিসেবে। যেখানে জুনিয়র নির্বাচক কমিটি থেকে পদোন্নতি পেয়ে মূল নির্বাচক কমিটিতে ঠাঁই পেলেন নন টেস্ট ক্রিকেটার সাজ্জাদ হোসেন শিপন। অন্যদিকে জুনিয়র নির্বাচক কমিটির রূপরেখায়ও এলো পরিবর্তন। এতোদিন ২ সদস্যের নির্বাচক দিয়ে চালানো হতো এই কমিটির কার্যক্রম। এখন থেকে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা তিন এ উন্নীত করা হলো। এহসানুল হক সিজানের সঙ্গে এই কমিটিতে যুক্ত হচ্ছেন টেস্ট বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত ও জাতীয় দলের সাবেক টপ অর্ডার হান্নান সরকার। সভা শেষে এসব তথ্যই দিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ‘আমরা একজনকে নিচের থেকে উপরে নিয়ে আসছি। আরেকজন নেমে যাচ্ছে। সুমন (হাবিবুল বাশার) চলে যাচ্ছে উইমেন্স কমিটিতে। সে এককভাবে পুরো বিষয়টি দেখবে। তাকে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওদিক থেকে শিপন (সাজ্জাদ হোসেন) চলে আসবে উপরে। আর হান্নান সরকার ও শান্তকে (হাসিবুল হোসেন) আমরা নিচে অর্ন্তভূক্ত করছি। সিজান তো থাকছেই। জুনিয়র সিলেকশন তিন জনের হয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে ২ বছর মেয়াদে কোচের দায়িত্বে সফল হাতুরুসিংহের মেয়াদ আগামী ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত (পরবর্তী বিশ্বকাপ) উন্নীত করেছে বিসিবি। শুধু হাতুরুসিংহেই নন, পুরো কোচিং স্টাফের সবার চুক্তি নবায়ন হয়েছে ২০১৯-এর জুন পর্যন্ত। এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ‘জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অন্যান্য যেই কোচ আছে তাদের চুক্তি বাড়ানো হয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমরা তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছি।’একই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন বিসিবি’র প্রধান কিউরেটর শ্রীলংকান গামিনি সিলভা।
বোলিং কোচ পদে পছন্দ করেও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের আকিব জাভেদকে পায়নি বিসিবি। সে কারনেই চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী বোলিং কোচের নাম উল্লেখ করতে চাইছে না বিসিবি। আগামী বুধবারের মধ্যে বোলিং কোচের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ‘বোলিং কোচ নিয়ে আলাপ হচ্ছে। দু’জন আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা কাজ করতে রাজী, আমাদের সাথে টাকা-পয়সার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী বুধবারের মধ্যে বোলিং কোচের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। এখনই নামটা বলতে চাচ্ছি না।’
২০১৬-১৭ ক্রিকেট মওশুমে ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের যে প্রস্তাব করে গেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধান, তার অনুপস্থিতিতেই গতকাল সে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে জাতীয় ক্রিকেট লীগ, আগামী বছরের শুরুতে (জানুয়ারী) বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ, আগামী বছরের ফেব্রæয়ারীতে মাঠে গড়াবে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ। মার্চে প্রথম বিভাগ। এ বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয় বিভাগ, আগামী বছরের জানুয়ারীতে তৃতীয় বিভাগ। ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের এই খসড়া সূচিই গতকাল অনুমোদিত হয়েছে বিসিবি’র সভায়। বিপিএল মাঠে গড়াবে আগামী ৬ নভেম্বর।
ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত করে তা যথাযথভাবে অনুসরণের তাগিদ সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহকে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ‘বোর্ড থেকে একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন ক্যালেন্ডার ঠিকমতো পালন করা হয়। এ বিষয়টিতে এবার জোর দেওয়া হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।